গোবিন্দ লীলামৃত। >ご s" মতা। তাহ হইতেও শ্রেষ্ঠ রাধ। সুবদনী । কৃষ্ণ ভূঞ্চ করে যারে দিবস রজনী । চন্দ্রাবলী নিজ ৰূপ গুণ আদি যত যত্বে প্রকটয়ে কৃষ্ণ রসের নিমিত্ত। রাধিকার সাহজিক প্রাকট্য দেখিয়া । কৃষ্ণ আত্মম্মতি হীন অন্য কেব। ইহা । সৰ্ব্বগুণ খনি রাইদোষাদি বিহীন। একথা অসত্য মনে দেখি লাগে চিত্ন। কেশে সুকৌটিল্য লোল নয়ন যুগল কুচযুগে কাঠি ণ্যত আছে যে বিস্তর। রাইনের চকোরিণী কৃষ্ণ মুখচন্দ্র। হাস্য সুধাপান করে পাইয়। আনন্দ ॥ক্লষ্ণের নয়ন ভূঙ্গ সতৃষ্ণ হইয়। রাই মুখপন্ধে গিয়া রহয়ে পড়িয়া । কৃষ্ণ কাছে রাই যদি বিনাবেশে রয়। আনন্দ উৎফুল্প ভাব অলঙ্কারময়। দেখি সব সখীগণ বহু সুখ পায় কি কহিব সে আনন্দ কহিল না হয় বিনা কৃষ্ণরাই থাকে তৃষ্ণাকুলি হৈয়। বিভূষণ পরে তভু দুঃখি সব হিয়া । রাধিকার আগে কৃষ্ণ আছে কৃষ্ণচন্দ্র । দুই পাশে কৃষ্ণ অরিমুখে কৃষ্ণানন্দ । রাধা দুই দুশে কৃষ্ণ দুই গণ্ডে ক্লষ্ণ । কুচে কৃষ্ণ কণ্ঠে কৃষ্ণ বাস্তান্তরে কৃষ্ণ- তেঞি রাধ কৃষ্ণময়ী সৰ্ব্বত্র বিদিতা। কৃষ্ণ প্রাণময়ী রাই বেদে গায় কথা ।কৃষ্ণাঙ্গ সৌন্দৰ্য্য কাম জিনিলা সকলে দেখিয়া কন্দৰ্প মনে হইল বিহ্বলে। অতএব কাম কিছু করিবারে নারে । তেঞি কাম রাই তনু আরাধন করে। প্রীতি মতি স্থানে রহে কৃষ্ণ জিনিবারে । জিনিয়া আপন মন সাফল্যতা করে । রাধি কার অঙ্গ যবে কৃষ্ণ পরশয়। দেখি স্বেদ অশ্রু কম্প রোমাঞ্চাদি হয়। কৃষ্ণ যৰে রাধাধর মধু পানকরে। সখীগণ রিজ মনে মত্তত অচিরে। বরীয়ান পুরুষ কৃষ্ণ সদগুণের সার । নারী বরীয়সী রাই গুণে নাহি পার। অন্যোইন্য সঙ্গ বিধি করিলা যতনে। নিজ গুণ জ্ঞাত যশঃ করিতে নর্তনে। কৃষ্ণ
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/১৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।