১৪২ গোবিন্দ লীলামৃত। বনে প্রজা যত কৃষ্ণ যে তোমার। নিদ্ধ ন করিল রাই যত ছিল সার। সৌন্দৰ্য্য মাধুর্য্য শোভাবান যত ছিল । ফল পুষ্প আদি সখী সঙ্গে সব নিল ৷ এই ত সময়ে নান্দিমর্থী আগমন পৌর্ণমাসীর আশীৰ্ব্বাদ জানায় তখন ৷৷ সবাকে আশীষ করি কহিতে লাগিল। পৌর্ণমাসী মোরে এথা পাঠাইয়া দিল । আত্ম মধ্যে দুই জনা কলহে কি ফল । সম্ভোগের হানি রাজ ভয় পুর্ণতর lা আমার আজ্ঞায় দু হুে সংপ্রতি করিয়। । রাজ্য সুখে রহু অতি স্বচ্ছন্দ হইয়া ইহা কহুি পুনঃ মোরে কহে পেীর্ণ মাসী। রাধাকৃষ্ণ ছুহ যদি বিবাদে প্রবেশি। বৃন্দার সহিতে তুমি বিচার করিয়া। প্রথমে কহার দোষ কহত আসিয়৷ ৷ শুনি নাদিমূখী বাণী কৃষ্ণ তারে কহে । সৰ্ব্ব তত্ব তুমি জা প্রীতি কৈছে হয়ে। সব সখী মেলি বন করিল নিদ্ধান। শঠত। করিয়া বংশী করিল হরণ । কৃষ্ণ বাক্য শুনি তবে কুন্দলত বলে । দ্বন্দু করি দুহে রাজস্থানে গিয়াছিলে । বড় গৰ্ব্ব করি ছুহে গেল রাজস্থানেরাজা কি কহিল কহসে সবকথনে৷lরুষঃ কহে রাই লয়ে রাজস্থানে যায়ে। সমর্পণ কৈল তারে একথা ক হিয়ে তোমার বনের দ্রব্য ইহা চুরি করে আত্ম দ্রব্য লওমোর দ্রব্য দেও মোরে। এই কথা শুনি রাজা পুছিল ইহারে। ইহে। ছল উঠাইয়। কথা কহে তারে । বহু গোপ সঙ্গে বহু ধেনু চরাইয়ে । কৃষ্ণ নষ্ট কৈল বন ফুল ফল লয়ে। আপনার অঙ্গ শোভা আমি বনে দিয়া পুষ্টকৈল সব বন দেখহ যাইয়া । এই মিথ্যা বাক্যে রাজ। প্রতীত করিল। সাক্ষাতে দেখিল রাজা পক্ষপাত কৈল ॥দোষ সিদ্ধ ইহাতেই বিচার না কৈল । তোমা সব নিকটেত পাঠাইয়া দিল । কৃষ্ণ কথা শুনি তবে কুন্দলত কহে ৷ পক্ষপাত যদি রাই কৈল সৰ্ব্বথায়ে। তবে
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/১৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।