গোবিন্দ লীলামৃত । ১৫ ৭ গণ শ্রবণ চ্যকে পান কৈল বুচন অমৃত হৈতে অধিকে ॥ নিজ নিজ সুহৃদ লইয়া প্রীত কৈল । এইৰূপে দুই পক্ষে দুহু সম্মলিল। শারীকে ললিত দিল পঙ্ক দ্রাক্ষাবন । সুৰল দি লেম কীরে দাড়িম্বোপবন । এইৰূপে শরত ঋতু দেখে কৃষ্ণ রাধা । পরম আনন্দে সখী সঙ্গিনীর বাধা । ইহার মধ্যেতে নান্দীমুখী আসি কহে। দেখহ হেমন্ত ঋতু বন আগে হয়ে । আপন সম্পত্তি সব প্রকাশ করিল ! তোমা দোহা সেবে মনে৷ বাঞ্ছা যে হইল । পঞ্চেন্দ্রিয় সুখ দেই দেখ বন শোভা । ষােহাতে বাঢ়য়ে পঞ্চেন্দ্রিয় বহু লোভ৷ অমান কুসুম দেখ হইল প্রফুল্লিত। কুরুন্টক কুরুবক সৌরভ পুরিত । তিত্তির ষটপদ নাবটঠ কীর ঘূমি। কর্ণের আনন্দ হয় যে যে ধূন শুনি । হৃদয় আনন্দ করে নারঙ্গ ছোলঙ্ক শীতানিলবহ স্নিগ্ধ করে সব অঙ্গ দেখ কৃষ্ণ এই যে হেমন্ত ঋতুবন তুয়া অঙ্গ তুল্য ইহার দেখিয়ে সকল ৷ নিরমল কান্তি সহ চরগণ সঙ্গে। কন্দৰ্প ধনু ক শালি গুণ গোপীরঙ্গে। বিকচ কুসুম বাণ মুখরিত কীর। সব লীলাময় দেখ সময় সুধীর । কয় কহে রাধে দেখ ঋতু কান্ত সম। যাহার দর্শনে হয়ে আনন্দিত মুন ৷ পক ধান্য বস্ত্র ধরে বিবিধ বরণ মদকল শুক পাণি ধূন বিলক্ষণাসুপক্ক নারঙ্গ উচ্চ কুচযুগ শোভা । হিম ঋতু দেখ যেন নট মন লোভা ৷ হিমঋতু আইল দেখহিম ভয় পায়ে। সূর্য্যের উষ্ণতা তুয়া হৃদি দুর্গে যায়ে ৷ আশ্রয় করিল এই অনুমান করি। স্তন কোকযুগ অহৰ্নিশিৰে বহুরি। হিমঞ্চভুহিম ভয়ে অগ্নির উষ্ণতা । স্থানেই লুকায়েছে শুন তার কথা । কূপের ভিত রে কত কত বৃক্ষতলে । কত যায়ে রহে গিরি গহবর ভিতরে 11 ১৪ ৷৷
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/১৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।