ኃ®ኳም গোবিন্দ লীলামৃত। হিমঋতু হিম যেন ডাকিনী আশয় । সর্য্য অগ্নি উষ্ণরক্ত সঘন পিবয়। যুবক যুবতী রহে রজনী শরনে। কুচের উষ্ণতা সঙ্গ ভঙ্গে দুঃখ মনে। উদয় বিলম্ব লাগি সুৰ্য্যে আরাধয় । রাত্রি বৃদ্ধি লাগি মনে উৎসাহ বাঢ়য় । রসের সময়ে ব্রজ কুমারিক স্তন । কুকুম লেপনে যার করায় স্মরণ। সেইত নারঙ্গ ফল পকূদেখ পুরে । সেই স্তনগণ এবে স্মরায়ে আমারে ৷ তবে বৃন্দাদেবী ত্বর আসি আগে হৈলা শিশির ঋতুর বন শোভা দেখাইল কহে দেখ সব জন্তু কম্প যে হইল। রোমাঞ্চ অঙ্গে ত বৃক্ষ কোলেত রহিল । সূর্য্যের কিরণ সব কোমল क्रुझेल ! দক্ষিণ দিশাতে অক গমন করিঙ্গ ৷ শিশির সন্দর নাম বন এক দেশ। যাহা দেখি হয় মনে আনন্দ আবেশ ॥ স্বয়ব বা কুলী রক্ত দুকূল ধরয়ে মদ কন প্রভ সেইচোলি অনুমিয়ে। প্র ফুল্লিত কুন্দ দেখ শ্বেত বস্ত্র ধরে । হরিতাল ভারই শব্দে স্তবন যে করে। এইমত তোমা দোহা মিলিবার তরে । অতি শয় প্রেমে নিজ শোভা বহু করে ৷ প্ৰভাতে সন্ধ্যাতে রবি কি রণ কোমল । মৃগ সব যায় ঘন দল তরুতল । মন্দরোম উঠে সেই প্রকট পুলক ৷ তোম। দেহা দেখি জলে দৃষ্টি অবি রক n দিনেই সর্ম্য তেজ টুটে অতিশয়। সৰ্য্যের সুখদদিন অতি ছোট হয় । সূর্য্যের সুহৃদপদ্ম সঙ্গে দেখা নয় । চণ্ড অংশু হিম স্থান পরাভব হয় । অতএব বিনা কৃষ্ণ কাল বশ সবে । যার যেই কাল সেই সেই রাজ্য লভে। শিশিরের ভয়ে সূৰ্য্য নিজ উষ্ণ ধন । ব্রজনার স্তনাগ্রেত কৈল সমর্পণ। তাই ব্ৰজ নারী লয়ে রাষ্ণে সমৰ্পিল । গাঢ় প্রেমে ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম বিচার না হৈল । বৃন্দ বাক্য শুনি কৃষ্ণ হর্ষত হয়ে শিশির ঋতুর বন শোভা না দেখিয়ে । রাই প্রতি রূহে অভি ললিত বচন । যাহা
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/১৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।