১৩২ গোবিন্দ লীলামৃত l আরাধনে কেবা করয়ে বিধানে ৷৷ কহ দেখি শুনি কঙ্গে রাধী স নয়নী । এই কৰ্ম্ম বিশাখিকা সখীর যে জানি। কৃষ্ণ কহে লতা ছলে কেবীপতি তেজি দরেকৃষ্ণ তমালেত সৰ্ব্বভাবে ভজি ৷৷ কৃষ্ণকহে কহ ইহা কে জানি করয়। চম্প কলতার কার্য্য রাধিক কহয় ৷ কৃষ্ণ কহে নানা চিত্র, রচনাতে দঢ় । বিবিধ শৃঙ্গার রচে অতি মনোহর ॥ অত্যন্ত কোমল মান সহিতে নাপারে। কেবা এই পরকারে আমা সখি করে। কহ দেখি এইধৰ্ম্ম কেব। সে আচরে । রাধিক কছেন চিত্র। এই কৰ্ম্ম করে। পুনঃ কৃষ্ণ কহে কাম বিদ্যাগম পটু ৷ নিভতে স্বশিষ্য করে যেন চণ্ডবটু। শিষ্য অঙ্গে অঙ্গ দিয়া কে তাহ। শিখায়। রাই কহে তুঙ্গবিদ্যা বিনু অন্য নয় ৷ কৃষ্ণ কহে কহ কার উদয় সময়ে । বিমল কুটিল কল লাগ প্রকটয়ে ৷ ষেজন দেখয়ে তার কামোদয় হয়। রাই কহে ইহা ইন্দ লেখাতে আছয়। কৃষ্ণ কহে নৃত্যরঙ্গে কেবা সুখিকরে। বড় দ্রুতগতি নৃত্যে আমাকে যে ধরে ॥রাই কহে রঙ্গদেবী একাৰ্য্য করয়। পুনঃ কৃষ্ণ পুছে তারে হাসি রসময় ৷ পাশক খেলাতে হয় কে অতি নিপুণ। চুম্বক তরল পণে করায়ে যোজন। জিনি লে আমারে পণ না দেন ইচ্ছাতে । রাধিক কহেন এই সুদে বী চরিতে। কৃষ্ণ কহে অন্য জন সুখে কেবা সুখি । তার দুঃখে অতিশয় কেবা হয় দুঃখি। নিজ সুখ দুঃখে হর্ষ ব্যথা নাহি করে। শ্রেষ্ঠ আরাধনা পর বৈষ্ণব অচিরে। কাহার এ ধৰ্ম্ম রাধে কহ বিচারিয় ! শুনি রাই কহে মোর সখিগণে ইহ। এইৰূপে কৃষ্ণ নানা পরিহাস ছলে । রাই সখী সঙ্গে বন পৰ্য্যটন করে। কুচাধর স্পর্শে পুষ্প অর্পণ করয়ে পরম আনন্দে বৃন্দাবন বিহরয়ে। লতা পত্র ফলে যৈছে কোকিল
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/১৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।