গোবিন্দ লীলামৃত । ১৩৭ ধরি আম যেন পীড়া নাহি করে । তবেত ললিতা কহে রাধিক শ্রবণে । শুনিয়া ধরিল ধনী বদন অরুণে ॥ দেখি কৃষ্ণ হাসে আর যত সখীগণ কুন্দলত। তবে কহে সরস বচন নেত্ৰ লাগি আছে কৃষ্ণ তাহ নাহি দেখ। আত্ম প্রতিবিম্ব দেখি অন্য জন লেখ । চন্দ্রাবলী শঙ্কা তুমি কর সর্ব ঠাঞি। ঐছে চিত্র নৃত্য আর কাছ দেখি নাই। বৃন্দাদেবী কহে দেখ আগে রঙ্গকুঞ্জ। রঙ্গদেৰী সুখদাখ্য সৰ্ব্ব মনোরঞ্জ । বসন্তলীলার দেখ সামগ্ৰী বিস্তর। আলাপন আদি করি অতি মনোহর li কম কন্তুর আর ਬਾਂ কপুর । চন্দনের পঙ্কজল হইল প্ৰ চুর । পৃথক ধরিল কাহল কাছাও মিসাল। সাত কুম্ভ কুম্ভে সব ধরিল বিশাল ।বহু মণিপিচকাই ভরিলা সে জলে । এই ৰূপে ঘটয়ন্ত্র ধরিলসকলে সিন্দর কপূর পুষ্প কন্দু কাদি গণ পুষ্প ধনুৰ্ব্বাণ কত করিল সাজন। পৃথক পৃথক ধরি লীলা অভিমত । তাম্বল চন্দন মাল্য কুসুমাদ কত । মুবাfসত জল পুর্ণ সুবর্ণ ভাজনে । অনেক ধরিল লীলা যোগ্য স্থানে স্থানে। কপূর কুঙ্ক ম মদ অগুরু চন্দন । কথো চূর্ণ কৈল কতপঙ্ক বিলক্ষণ ॥ অত্যন্ত কোমল শিশি ভরিয়া২। স্বর্ণপাত্রে রাখিয়াছে সুপংক্তি করিয়া। মণিজলযন্ত্ৰ সবে হন্তে করি নিল । পরস্পর প্রেমের সে খেলা আরম্ভিল। একদিগে হৈল সব অঙ্গনার গণ । অন্যদিগে কৃষ্ণ করে ষন্ত্রের সাজন। সূক্ষ্ম শুক্লবস্ত্ৰ সবে পরিধান কৈলা । কপূর তাম্বলে মুখ প্ৰ পূর্ণ হইল করে জলযন্ত্র করি রতিপতি রণ অস্তিকে গেলেন সবে করিয়া সাজন । কন্দৰ্প নারাচী শীত কটাক্ষ বরিষে। অন্যেন্যে যন্ত্রেতে যে বরিষে হরিষে, সূক্ষ্মবন্ত তিতি সৰ অঙ্গে ত’লাগিল। সব অঙ্গ বেশ ভাতি বকত হইল । অঙ্গ মধুরিমা
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/১৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।