১৭২ গোবিন্দ লীলামৃত । ম। এস্থলে । তবেত ললিতা আর বিশাখাদিগণ সবেই নাম্বিল রহে স্ত্রীরাধারমণ ॥ তলে আসি সেই দোলা পুনঃ যে দোলায়। ব্যাকুল হইয়। রাই চাঞ্চল্যতাময়। গাঢ় আলিঙ্গনে কৃষ্ণে ধরিয়া রঙ্গিলা । সখীগণ হস্যে কৃষ্ণ তৎকাল নাম্বিল । কৃষ্ণ মেঘ গোপাঙ্গন বিজুরী ৰেষ্টি ত । নানা লীলামৃতে করে ভুবন সিঞ্চিত । বৃন্দ কুন্দলতাদি সবার নয়ন। পদ্ধকের তৃষ্ণ হরে অতি মনোরম ৷ দৌল। লীলা খেল। এই বৃন্দাবন মাঝে । রাধা কৃষ্ণ সখী সঙ্গে যে আনন্দে যজে । অতঃপর কৃষ্ণ সব সখীগণ সঙ্গে । মধুপান কুটিমে আসি বৈসে মহারঙ্গে ৷ অত্য ন্ত শীতল স্থল ছায়া মনোরম ৷ বিশ্রাম করয়ে তাহী শ্রম নিবন্ত্রিণ | পদ্ধ দৃশী সবইবসে কৃষ্ণ দুইপাশে । ব্যাপ্ত হয়। বৈসে আগে মণ্ডলী বিশেষে ; রত্নহার ঘেন আছে কৃষ্ণ কণ্ঠদেশে । নীল রত্ন নায়ক তাতে যৈছন বিশেষে । সুচম্প চামর বায়, করে কোন সখী । মনোজ সিঞ্চয় বায়, করে অন্য সখী । কন্দ পের রুচিকিমি দোহ মুখচন্দ্র ৷ কেলিশ্রান্ত হয়্যা আছে নয়ন আনন্দ কোন সখী পদপদ্ম সম্বাহন করে । এই ৰূপে দেক। র শ্রম কৈল সবে দূরে ৷ মধুপত্র পুর্ণ বৃন্দা করিয়া সাজনি । এইকালে ধরে তেহেঁ দোহা আগে আনি । রাধাকৃষ্ণ দৃষ্টি পড়ে সেই পাত্ৰমাঝে । নীল স্বর্ণপদ্ম দেখে তাহাতত বিরাজে একেক পদ্মেতে দুই খঞ্জন নাচয় । অকস্মাৎ রাধাকৃষ্ণ মনে এইলয় । রাধিক নয়ন মত্ত ভঙ্গী লুব্ধ হৈল । অবিলম্বে আসি নীলপদ্মেতে পড়িল ৷ কৃষ্ণের নয়ন দুই মত্ত অলিরাজ । তৎ কাল পড়িল ঘাঞ স্বর্ণপদ্ম মাঝ ॥ মধুদরপণমুখ চমক হইল। মুখের সৌন্দৰ্য্য মধুনের অগ্নি হৈল । সর্বেন্দ্রিয় নেত্ৰ অন্য অঙ্গ জড় হৈল । দোহী প্রতি অঙ্গে আসি পুলক ভরিলা ।
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/১৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।