১২ গোবিন্দ লীলামৃত l কৃষ্ণ ভূজে ধীর। রহিয়াছে যেন মেঘে বিদ্যুল্লত থীর । গোষ্ঠ গন্তমনা কৃষ্ণউৎকণ্ঠ অন্তরে। রাই অঙ্গ সঙ্গ গাঢ় আলি জন করে। সঙ্গ ভঙ্গ কাতর কৃষ্ণু বিশৃঙ্খল মন কপট নিদ্রার ছলে করেন শয়ন ॥দক্ষ নামে কীর কৃষ্ণ লীল। যে রচয় ৷ লক্ষ লক্ষ শ্লোক পঢ়ে পণ্ডিত সে হয়। প্রফুল্লিত পাখা কৃষ্ণ প্রেমের আনন্দে কহিতে লাগিলা তিহে নানা পদ্য ছন্দে । যাবৎ জননী তোমার গৃহেতে যাইয়। এই সব কৰ্ম্ম করে সচকিত হৈয়া ৷ তোমার নিদ্রা ভঙ্গ ভয় দধির মন্থনে। দাসীকে নিষেধ করে করিয়া যতনে। তাবৎ নিভৃতে তুমি যাহ নিজ ঘরে । সেখানে শয়ন কর আনন্দ অন্তরে। কালিন্দী আদি করি যত গাৰীগণ । সবেই করছে তব পথ নিরীক্ষণ ॥ স্ত রূ কৰ্ণ উদ্ধৃমুখে স্তন ছদ্ধভরে। পীড়া পায় তবু বংস আস্বান না করে। তুমি গেলে তা সবার দুঃখ যায় দূর। তুষার্থ বাছুরে পীয়ে তবে দুগ্ধপুর। প্রাতঃকৃত্য করি পৌর্ণমালী ঠাকু রাণী। যাবৎ মিলিতে না যায় তোমার জননী'৷ তোমাকে দে খিতে যাবৎ তোমার মন্দিরে। প্রবিষ্ট না হয় তাবৎ যাহ নিজ ঘরে। কীর বাক্য শুনি গোষ্ঠ গমনে সত্ত্বর। উঠিলেন শয্যা হৈতে শ্বামল সুন্দর । অস্পে২প্রিয় অঙ্গ হৈতে অঙ্গ লৈয়া। প্রিয়া অঙ্গ শোভা দেখে শয্যাতে বসিয়৷ পূর্বেই জাগিয়৷ ছেন সব সখীগণ বৃন্দা সঙ্গে দেখে কুঞ্জ ছিদ্রেতে আনন।প্রাতঃকাল হৈল দেখি সশঙ্ক হইয়া। দেখয়ে দোহার শোভা নয়ন ভরির। রাধিকার রতিভরে উদ্ধত কলাপিনী। সুন্দরী নাম ভার্মময় রমণী।ময়রের সঙ্গ ছাড়ি শীঘ্ৰ তাহ আইলা।
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।