२९ २ গোবিন্দ লীলামৃত। ঠাম দশন কিরণে সিক্ত শোভা অনুপাম । নবীন পল্লব যেন ছদ্ধধৌত ঠাম। কৃষ্ণ ওষ্ঠোপর শ্বাস নিগমের স্থলে অম্প নিম হৈল সেই অতি মনোহরে । শু্যাম অৰুণিমা যাহা মিলন হইল । অপ উচ্চওষ্ঠ তাহমাধুর্ঘ্য ভরিল। অপ উন্নত দীঘ মনে হর সীমা । বন্ধুক জিনিয়া ছবি কি দিব উপমা কৃষ্ণাধর মঞ্জ, বিম্ব বন্ধুক জিনিয়। মধ্যে অপ রেখা হয় মন মোহনিয়া ৷ তা হার দর্শনে যত অন্য রাগগণ । হরয়ে স্বভাব এইঅতি বিলক্ষণ নিজামৃতে সুবাসিত বংশিক করয়। স্কুষ্ম দীর্ঘ শব্দে বিশ্ব চিত্ত আকৰ্ষয় । ব্রজের রমণীগণের সর্বস্ব পেটারি । রাধিকার প্রাণ সাধুচযক মাধরি দশনের চিন্তু তাতে আছয়ে সুচিত্ন। কৃষ্ণ ধর ওষ্ঠ চিত্তে রহু নিশি দিন। কৃষ্ণের দশন জিনি কু ধ্রুকলি বৃন্দ। আকার সৌষ্ঠব অতি মনোহর ছন্দ শিখিবছ।মুক্ত শোভা অতি অভিমান। দন্ত কান্তিলেশ মাত্রে করয়ে খণ্ডন ।। যুবতী অধর বিশ্ব দংশন কারণে কৃষ্ণের দশন শুক মুখের সম! নে প্রিয়ার অধর বিম্ব সদা আস্বাদনে পকু সুদাড়িম্ব বীজ সম দন্তগণে । রাধাধর স্বর্ণমণি ভেদের কারণে। কৃষ্ণের দশন নেয় কামটঙ্ক বাণে ॥ এছে কৃষ্ণদন্তগণ মাধৰ্য্যের সার । স দাই স্ফুরুক এই হৃদয়ে আমার ৷ শ্ৰীকৃষ্ণের মুখচন্দ্র সহাস্য কৌমুদী । প্রণয়িগণের মন শ্রম নাশাবধি । রাধিকার প্রেম অতি সমুদ্র গম্ভীর । কৃষ্ণ মুখচন্দ্র হাস্যে উছলে অস্থির । আপনার সুপ্রসন্ন কলিকা হইতে । অত্যন্ত আনন্দ পায় বিশ্বলোক চিত্তে ৷ লক্ষনী আদি করি যত নিতস্বিনী গণ । কৃষ্ণ মুখ পদ্মগন্ধ বাঞ্ছয়ে সঘন। গোপাঙ্গন নেত্ৰ ভূঙ্গ সদা পান করে। আপন মাধুরী বংশী স্থলে যেই ধরে। সেই কৃষ্ণ মুখ। স্বজ হাস্য মকরন্দ। আমার হৃদরে সদা করুক আনন্দ। কৃষ্ণ
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/২০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।