গোবিন্দ লীলামৃত। ネ・● জিহ্বা রসকাব্য মণি জন্ম স্থান অশ্রাস্ত যাভূধ রসা স্বাদনে প্রধান । বিশ্বজনে সৰ্ব্ব রস দেন সৰ্ব্বক্ষণে । রসজ্ঞা যথার্থ নাম রাধাধর পানৈ কৃষ্ণের বচন হয়ে রসালা উত্তম । প্রেম মৃত হাস্য মধু হইল মিলন ৷ সনৰ্ম্ম অক্ষর তাতে সংযোগ ক রিল। শব্দ অর্থ দুই শক্তি কপুরে বাসল। কদৰ্পক তাপ ষত ব্ৰজাঙ্গনা গণে । এইত রসালা করে সে তাপ শমনে সৰ্ব্ব বিশ্ব সন্তৰ্পণ করে কৃষ্ণ বাণী। জয়কৃষ্ণ বাণী সুধা সমূদ্র দমনী কৃষ্ণের নাসিক যেন ইন্দ্র নীলমণি । তিলের কুসুম অধোমুখে আছে জানি। ইন্দ্র নীলমণি জিনি শুক চঞ্চ, ঠাম। নাস1ছলে কামবাণ কৈল নিরমাণ ॥অতি উচ্চ অগ্রভাগ নাসা মনোহরে । সদা যেন স্বৰ্ত্তি হয় আমার অন্তরে ৷ কৃষ্ণের নয়নদ্বয় চন্দ্র কান্ত মণি গুণিতে ঘটনা কৈল ইন্দ্র নীলমণি অত্যন্ত সুন্দর তার বিধি নিরমাণ। শ্বেতপদ্ম কোষে ঘুরে ভ্রমরার ঠাম।। নয় নে অত্যন্ত শোভা অরুণ প্রবল। চতুদিগে শ্বেত মধ্যে শ্ৰামত। তরল । কামের কন্দুক অতি চিত্র নিরমাণ । তাহাতে তাড়য়ে সৰ্ব্ব গোপাঙ্গনা মান। লাবণ্যের সার সুধা বৈসে কৃষ্ণ জাখি কারুণ্য অমৃত সার বারি সম দেখি। কন্দপের ভাবামৃত কিবা বন্যাচয় । জগত পুীবিত কৈল সৰ্ব্বানন্দময়। কৃষ্ণের নয়ন অতি দীঘ সুবিপুলে । অত্যন্ত চিকণ শোণকোণ মনোহরে। সুস্নিগ্ধ সুপান ঘন পক্ষ সুচঞ্চলে। তারুণ্যের সার মদ ঘুর্ণন ম স্থরে। এই কৃষ্ণ নেত্ৰ যুগম আমারহাদয়ে। সদা স্ফৰ্ত্তি হউ সৰ্ব্ব লীলা রসময়ে । কি কহিব গোবিন্দের লোচন কটাক্ষ । সাধু ধৰ্ম্ম দৃঢ় মৰ্ম্ম ভেদে ময়দক্ষ। কামের সুতীক্ষ বানাজনি দৰ্প যার হেন কৃষ্ণ কটাক্ষের গম্ভীর সঞ্চার। সমস্ত দরিদ্র গোষ্ঠী স্বপ্নে নাহি জানে। হেন বাঞ্ছা পূর্ণ করে কটাক্ষের দানে
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/২১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।