२०8 গোবিন্দ লীলামৃত । কৃষ্ণেয় ভ্ৰ,লতা অতি সুকৌটিল্য বাণ । বিদ্ধ করে যেই বিশ্ব যুবতীর প্রাণযুবতীগণের চিত্তচঞ্চল হরিণী বিন্ধিয়া ঘুরায় যেই এদিন রজনী । সেই কৃষ্ণ জলতার কীৰ্ত্তি অতিশয় । কন্দ প ধনুকে যেই তৃণত কয় ৷ কৃষ্ণের ললাট কৃষ্ণাষ্টমী শশি জিনি। ভ্ৰ,লতা অলকা দুই পাশ্বেত সাজনী গিরিধাতু চিত্র চারু কাশ্মীর তিলকে । কাম যন্ত্রাভিধ নামে মোহয়ে অলিকে রাই মন হরিণীর বন্ধন লাগিয়া । কিরণের জাল কাম বিস্তরিল লঞা । অলকা মধপ মালা কৃষ্ণ ভালো পরে। অতি সুল লিত শোভা সৰ্ব্ব মনোহরে । অঙ্গন নয়ন মীন বন্ধন কারণে । কন্দৰ্প কৈবৰ্ত্ত জাল কৈল প্রসারণে। গোবিন্দের কেশ শোভা অতি দীর্ঘতর। অত্যন্ত চিকণ করে ভ্রমরগঞ্জন। অতি সূক্ষ্ম সূকুঞ্চিত ঘনাগ্র সোসর। কস্ত রিকা নীলোৎপল গন্ধ মনোর কন্দৰ্প চামর নীলধ্বজ শোভা হরে রুষ্ণের কুন্তল সদা স্ফুরুক অস্তরে চড়া অদ্ধযুক্ত বেণী জুটের বনান। সে সময়ে উচিত সেই বেশ বন্ধান। যেকেশ রাধিকাচিত্তে অমৃত সমানে। সেই কৃষ্ণ কেশ রহু সদা মোর মনে কৃষ্ণাঙ্গ মাধুর্য্য সুধা সমুদ্র জিনিয়া। পালাবার শূন্য তাহ বন যে ইহ৷ নানান ভূষণে করে ষে অঙ্গ ভূষণে সে শোভা করয়ে জগৎ দৃশান্ধি সেচনে। সহস্র বদনে অঙ্গ বর্ণন নহয়। হেন কৃষ্ণ মাধুর্য্যাঙ্গ সুমাধুর্য্য ময়। এইৰূপে ক্লষ্ণ অঙ্গ বর্ণে শুক শারী। কণ্ঠে গদগদিক তাসি বাক্য রুদ্ধ করি। তার বাক্য সুধার্ণবে মগ্ন ভেল চিত্তে ক্ষণেকে সবার চিত্ত হইল স্তম্ভিতে । এই ত কহিল কৃষ্ণের অঙ্গের বর্ণন । ইহা যেই শুনে পায় কৃষ্ণ প্রেমধন ৷৷ গোবিন্দ চরিতামৃত সৰ্ব্ব বেদ সার। সদা আম্বাদয়ে রাধা কৃষ্ণ প্রাণ
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/২১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।