গোবিন্দ লীলামৃত। ২১৩ সখীবৃন্দ, সঙ্গে দোহ পদ সেবাচরে। অনন্ত মহিমা গুণ, ৰূপেত না হয় উন, কেব পারে করিতে বর্ণন । দিগ মাত্র দেখাইতে, কিছু প্রকাশিল ইথে, কহে দাস এ যদুনন্দন . পুনর্যর্থীরাগঃ স্বর্ণপদ্ধ কুঙ্ক মাক্ত, গৰ্ব্বহারী গোঁর দীপ্ত, গেরোচন গঞ্জন রাধিক ৷ কপু রাজ গন্ধ বৃন্দ, কীৰ্ত্ত নিন্দি অঙ্গ গন্ধ, গোবিন্দ বাঞ্ছিত সূরাধিক । বন্দে। রাধা ৰূপ গুণ গণে । অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড মাঝে, যত লক্ষ্মণগণ আছে, মাগে যার পদ গুণ কণে। ধ্রু। চন্দন উৎপল চন্দ্র, করে শীতল ছন্দ, জিনি স্নিগ্ধ রাধ নিতস্বিনী। কৃষ্ণ আত্ম স্পশ দেই, কামতাপ বিনাশই, কৃষ্ণ সুখী করে সুবদনী । বিশ্ব সতী বন্দ্যারম, সে নহে যাহার সমা, ৰূপ নব্য যৌবন সম্পদ ৷ শীল অতি মনে শুর, সুশীল অধিক তর, নাশে কৃষ্ণ কমতাপ সদা। রাসে নৃত্য সুসঙ্গ তা,নৰ্ম্ম কলা সুপণ্ডিত, প্রেমরস ৰূপ যে অধিক। সাণাদি সুমণ্ডিত, বিশ্ব নব্য সুযোজিতা, গোপী বৃন্দ নিযে জে অধিকা। স্বেদ কম্প কণ্টকাদি, অশ্রু হর্ষ গদগদাদি, হর্ষ বাম ভাব বিভূষিতা। নানা রত্ন আভরণ,প্রতি অঙ্গে বিধারণ, কৃষ্ণ নেত্র করয়ে তুষ্টিত ৷ কৃষ্ণ বৃত্তি সদ্ধ ক্ষণে,দৈন্য সচাপল) গণে, ভাব রন্দ রহয়ে মোহিতা যত্ন লব্ধ কৃষ্ণ সঙ্গ, নানান বিলাস রঙ্গ, করি শীঘ্র না হয় নির্গত । এইভ রাধিক গুণ যেবা গায় অনুক্ষণ, সেই জন পায় সে-চরণ ৷ শৈলজাদি নারী গণ, দুল্লভ যে সব ধন, রাধাকৃষ্ণ চরণ সেবন । সঙ্গে সব সখীগণ, রাধাকৃষ্ণ সুসেবন, করয়ে বা করয়ে শ্রবণ। বৃন্দাবন মাঝে রহে,এযদুনন্দন কহে, হয়ে দোহা দাসের ভাজন। •শুক শারী মূখে এই কৃষ্ণ গুণমালা। বর্ণন শুনিয়া সবে আনন্দ পাইলা । আনন্দ সমুদ্র ਜੋ মগন হইল। বিস্ময়
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/২২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।