২১৬ গোবিন্দ লীলামৃত। বাঞ্ছা রাধ গুণমণি ॥ ধরাধর ধারী ধর, ধুরন্ধর বর বর, ধরি ধরি রাধার অধরে নিজাধর ধরি ধরি, নিজ বাঞ্ছা পুর্ণ করি, অনুক্ষণ ভাবয়ে অন্তরে । কুণ্ড তীরে তীরে নিতি, করি তে একত্র স্থিতি, ভ্ৰমে কৃষ্ণ রাইর লাগিয়া তীরে তীরে গান করে, না পাইলে প্রাণ পুড়ে, পঢ় শারী এসব কহিয়া ॥ কহ রাই কৃষ্ণ প্রাণ, রাই কৃষ্ণের নয়ন, রাই কৃষ্ণ গলে চম্পূমালা এ যদুনন্দন মনে, কহে এই নহে আনে, যাতে রস সুরঙ্গ ধরিলা । কৃষ্ণ হস্ত হৈতে শারী রাই করে গৈলা । তৈছে শুক কৃষ্ণ হস্তে যাইয়া পড়িলা ৷ তবে রাই পুনৰ্ব্বার শারীকে পঢ়য় । শুনি সখী সবাময় সৰ্ব্ব সুখ পায় ॥পঢ় শারী কৃষ্ণ লীল। অতি নির মলে । চন্দন করক হীর চন্দ্র মোহ করে। তমাল নিরদ অলি জিনি অঙ্গ ভাস। রস জিনি মকরন্দ সুপদ্ম বিকাশ। নর্তক গোকুলচন্দ্র কীৰ্ত্তি বংশীঘুণে । জৰ্জ্জর করিল হৃদি বংশ নারীগণে ॥ সরসীর চিত্তে যেন শরালীর ধূনি। শুনিয়া উন্মত্ত হয় মানয়া কিঙ্কিণী৷সুশীল বনিতা যত গোপ নারীগণে নীবি বিঅংসয়ে যার মুরলীর গানে। শুন শারী তারে স্তব কর সাব ধানে। মঙ্গল হইবে সব যাহার স্তবনে। তবে কৃষ্ণ কহে কীর পঢ় সাবধানে। যাতে সুখী হয় মন সৰ্ব্ব জন শুন ৷ কৃষ্ণের অগ্রেতে সব গোপ সাধীগণ । চিত্তের সহিতে ব্যক্ত না করে স্তবন। সরসী কুটীরে দোল বিলাস করিতে । গোবিন্দ বিহরে সব রমণী সহিতে, পদ্ম তলে নির্বী তার কণা যে পবন । মন্দ মন্দ লঞ তাহ সুখী করে মন । পঢ় কীর সখী সঙ্গে প্রতি দিনে দিনে। উৎকণ্ঠাতে আসি সঙ্গ করে কৃষ্ণ সনে ॥পঢ় কীর কৃষ্ণচন্দ্র রাধক আনন। যেই হৈন্তে আত্তি করি কারণ মুম্বন
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/২২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।