গোবিন্দ লীলামৃত। २२७ অঞ্চলে বান্ধিয়া দুই মুদ্রিক সুন্দর। কৃষ্ণ নিষেধয়ে তারে কহে যত দোষ । আমার সকল দাও কাহে অসন্তোষ । তবে ত জটিল কৃষ্ণে কহে মান্য করি । যবে আইস মোর ভাগ্যে এই ব্রজপুরী। সূৰ্য্য পুজাইবেনিতে আমার বধূরে। অনেক দক্ষিণ দিব বলিল তোমারে । এত কহি বৃদ্ধ কৃষ্ণে প্রণাম করিল। বটকে প্রণমি সুখে গৃহেরে চলিল ॥রাধিকাসুদ রী সব সখীগণ লৈয়া চলিলা আপন গৃহে বিমনা হইয়া । ললিতার সঙ্গে কথা আলাপন ছলে । গ্রীবা ফিরাইয়া কৃষ্ণ মু খাজ নেহারে । পুনঃ পুনঃ পিয়ে কৃষ্ণ মুখাজ মাধুরী। ভূপ্ত নহে তৃষ্ণ বাঢ়ে নয়ন চকোরী। রাই তনু হেমঘটি অতি মনে হর । পূর্ণ কৈল৷ স্নিগ্ধ দুগ্ধ কৃষ্ণ রসলীলা । তাহ দেখি সখী গণস নয়ন বৃন্দ। জুড়ায়ে সঘন চিত্ত পরম আনন্দ ৷ সেইরাই তনু এবে গোবিন্দ বিরহে । বিরস বিবর্ণ দেখি সখী তাপ পায়ে রাধিকার সঙ্গ চন্দ্রে গোবিন্দের তনু । প্রফুল্প হইল নীল উৎ পল জনু ৷ এবে রাই বিচ্ছেদাক উদয় হইল। সেই কৃষ্ণ তনু ক্ষণে মুনি হৈয়া গেল । ঐছে কৃষ্ণ সুখা সঙ্গে বিমন হইয়া । সখীগণ মাঝে শীঘ্ৰ উত্তরল গিয়া। সখীগণ ধায়ে আসি কৃষ্ণ পরশয় । আমি আগে ছুইল বলি হৃষ্ট হৈয়া কয় । সখী কহে গেলা আমা সবাকে ছাড়িয়া । বহু দুঃখ পাইল সবে তোমা না দেখিয়৷ t তোমার বিচ্ছেদ দুঃখ সহনে না যায় । ব্যক্ত কাঠিন্যতা তুয়া নহিল হিয়ায় । অত্যন্ত বৈকল্য পায়ে তোম। অন্বেষিতে গমন উদ্যোগ মাত্র লাগিল করিতে। হেন ই সময়ে তুমি ক্ষণাদ্ধে আইলা। আসিয়া কোমল্য প্রেম প্রকাশ করিলা । রাধিকার সঙ্গে কৃষ্ণ মধ্যাহ্ন বিলাস I স্থর্বিগাহ স,ধাসিন্ধু লীলা মনোলাস। পারাবার শূন্য সৰ্ব্ব রসময় লীলা .
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/২৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।