२88 গোবিন্দ লীলামৃত। ব্ৰজেশ্বরী লঞা । ক্রম করি পরিবেশে আনন্দিত হৈয়৷ ৷ মাতা পিতা আদি করি যত২ জনে। পরম আগ্রহ করে কৃষ্ণের ভো জনে ॥ মনোবাক নেত্ৰ সৱে প্রকাশ করয়ে । সমস্ত ভুঞ্জয়ে কৃষ্ণ এই মনে হয়ে ৷ অতি গাঢ় প্রেম চিন্ত দ্রবিত হইয়া । স্নেহ বাষ্প ছলে বহে নয়ন ভরিয়া । শত শত গ্রহ করি ভোজন করায় । তাই দেখি কৃষ্ণচন্দ্র মহাসুখ পায়। মাতা গুঢ়ৰূপে করে আগ্রহ বিস্তর । বটু নৰ্ম্ম করে তাতে গাম্ভীৰ্য্য অন্তর ॥ তবু প্রাতে কৃষ্ণ যৈছে ভোজন করিলা । সায়ংকালে ভোজনে ত ৰ্যস্তত হইলা । পিতা জ্যেঠা খুড়া সনে একত্র ভোজন । স্বচ্ছন্দিত নহে যদি নৰ্ম্ম অলোপন 11 মাতাও লালয়ে যদি স্বচ্ছ দে ন কৈল । তথাপিহ ক্লষ্ণচন্দ্র মঙ্গসুখ পাইল । একত্র ভে নে কৈল সবাকে লইয়া। তাছাতেই সুখী কৃষ্ণ আনন্দিত হিয়া প্রাতঃকাল হৈতে সয়ংকালের ভোজনে। কোটি সুখ পাইলা কৃষ্ণ ঘ্নে আচরণে। ব্ৰজবধু মুখচন্দ্র হাস্য মনোহর। দেখি তৃপ্ত হৈল সবার নয়ন অন্তর ৷ কৃষ্ণ বাণী সুধাবিন্দু কর্ণ পান কৈল। কৃষ্ণ অঙ্গ গল্প মৰ্ব্ব নাসা পূৰ্ণ হৈল । মাধুর্য্য অমৃ তাম্বাদ জিহ্ব পুর্ণ চৈল। পঞ্চেন্দ্রয় কৃষ্ণ চিন্তু সবার পুরিল ৷ ভোজন করিয়া তবে জলপান কৈল । অ চেমন করে মুখমার্জন করিল । তবে কৃষ্ণ যঞিা রত্ব পালঙ্ক উপরে। বিশ্নাম করিল। সব দল সেবা করে । আটালী উপরে কৃষ্ণ করিলা শয়ন । দাসগণে সেবে দিয়৷ তাম্বল বীজন। অট্টাল উদয়াচলে কৃষ্ণ মুখচন্দ্র । উদয় হইল জ্যোতি জ্যোৎস্না দীপ্ত চন্দ্র ৷ রাধিকাহে। নিজ সখী বৃন্দ সঙ্গে লৈয়া । নিজ অট্টালয়ে মুখ গবাক্ষে ধরিয়৷ t দেখে গোবিন্দের মুখ চন্দ্রের সুসমা । নয়ন চকোরদ্বয়ে নাহি হয়ে ক্ষমা । পুনঃ পুনঃপিয়ে সুধা নয়ন চকো
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/২৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।