গোবিন্দ লীলামৃত। २86 রী। শূন্য অঙ্গ হৈল চিত্ত কৃষ্ণ সুখে ধরি। সম্ভাগ্যের গণ যবে উদয় করয়ে । সৰ্ব্বত্রেই সৰ্ব্বক্ষণ সৎফল ধরয়ে । কৃষ্ণ তৈছে অট্টালিক গবাক্ষে আনন। ধরিয়দেখয়ে রাই মুখ মনোরম। রাই মুখপদ্ম মধু ধারা পান করে। নিজনের ভূঙ্গ যুগ-ভাগ্য ফল ধরে । আঁথা ব্রজেশ্বরী তবে তুলসীকে কহে । ভোজন করহ তুমি লএল সর্থীচয়ে ] তাহ শুনি ধনিষ্ঠিক কহয়ে তা হারে । বিনা রাই জলপান তুলসী না করে । অতি স্নেহ রীত তার শুনি ব্রজেশ্বরী । ধনিষ্ঠাকে কহে তিহে মহা ত্বরাকরি । রাই সখীগণ সঙ্গে যত্তেক ভূঞ্জয়ে । তত অন্ন ব্যঞ্জনাদি পাঠাহ সে গৃহে ৷ তাকু শুনি ধনিষ্ঠিকা কৃষ্ণ ভূক্ত শেষ। অন্ন ব্যঞ্জ নাদি করি যতেক বিশেষ। রোহিণীর স্থানে অন্ন ব্যঞ্জনাদি লৈয়। একত্র করিলা তাহ গোপন করিয়া । তুলসীকে দিয়া তাহ হংকাল পাঠায় । অথ। ব্রজেশ্বরী যাত্ৰীগণেরে বোলায় কন্যা বধূ আদি যত দাস দাসীগণ যত গোপগণে দিল মি ষ্টান্ন ব্যঞ্জন । আপনেহ সব লৈয়া ভোজন করিল । আঁচমন করি সবে তায় ল খাইল ॥ ধনিষ্ঠ আনিয়া অন্ন তুলসীরে দিল। দুবলে বিটিকাদিয়া সঙ্কেত করিল। অথা রাধিকার পাশে তুলসী যাইয়। শেষন্নি র্যঞ্জন দিল হরষিত হৈয়া । সখীগণ সঙ্গে ধনী সে দ্রব্য দেখিলা। গন্ধবর্ণে নাসা দৃষ্টি তৃপ্তি চৈয় গেল । শ্ৰীৰূপমঞ্জরী জাহ। তৎকাল লইয়া। ভোজন অলিয়ে রাখে পৃথক করিয়া। অথী বিশাখাকে ডাকি কহয়ে জটিল। ভোজন করিয়া পুত্ৰ গোশালাকে গেল ! বধুকে বোলাও এথা ভোজন করিতে। তাহ শুনি বিশাধিক লাগি ল। কহিতে। প্রথমে সে সখী মোর শয়ন করিল। উঠিতে না পারে অঙ্গ অলসে ভরিলা ৷ অন্ন ব্যঞ্জন দেহ এথাই আনিয়া ।
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/২৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।