গোবিন্দ লীলামৃত। ২১ নিজাঙ্গনে সবে চকিত হইয়া। পাদ বিক্ষেপণ করে মন্থর করিয়া। গুরুজন গৃহদ্বারে সভয় চঞ্চল। নয়নে নিরখে আর গমন মন্থর ৷ এইৰূপে গেলা সবে না জানিল পরে। নিভয়ে প্রবেশ কৈল নিজ নিজ ঘরে নিজ২ শয্যাতে রাধা কৃষ্ণের শয়ন। অন্যান্য তৃষ্ণ পুনঃ মিলনের মন। সখীগণ শয়ন কৈল নিজ২ ঘরে । অলসে আকুল হঞ সত্ষ্ণ অস্তরে। প্রতিকল্পে যেন হরি করেন শয়ন। সেখানে শয়ন করে যেন বেদগণ৷ গোবিন্দ চরিতামৃত কথা অনুপাম। অপূৰ্ব্ব রহস্য শুনি জুড়ায় মনকান। বিশ্বাস করিয়া যেই করয়ে শ্রবণ। ইহাতেই মিলে রাধাকৃষ্ণের চরণ। নিকুঞ্জে নিশাস্তে কেলি মধুর বিলাস I সংক্ষেপে কহয়ে কিছু যদুনাথ দাস ৷ to ইতিগোবিন্দ লীলামৃতে প্রথম সৰ্গ । রাধাং সুতি বিভূষিতাৎ ব্ৰজপয়াহুতাং সখিতি প্রগে তদোহে বিহিতান্ন পাক রচনাং কৃষ্ণাবশেষাশনাং ! কৃষ্ণং বুদ্ধমবাপ্ত ধেনু সদনং নিবৃহি গোদোহনং সুসুতং কৃত ভোজনং সহচরৈস্তাঞ্চথতঞ্চাশ্রয়ে ৷ জয়ং শ্ৰীকৃষ্ণ চৈতন্য কৃপাময়। পতিত পাবন প্রভু সদয় হৃদয়৷ জয়ং ব্রজবাদি কৃষ্ণ ভক্ত বৃন্দ ৷ জয়ং রাধাকৃষ্ণ, নিত্য সুখানন্দ। শুন সব লোক এই অদভূত কথা। রাধা কৃষ্ণ বিলা সের সুধাময়গাথা। যথারাগঃ রাধামাত বিভূষণু,নান চিত্রবিলেপন, ব্রজে শ্বরীর আজ্ঞার পালনু । সঙ্গে করি সখীগণ,গেলা তাহার ভবুন, প্রাতে কৈল কৃষ্ণের রন্ধন ৷ কৃষ্ণচন্দ্র দাগি তথা, গেল। ধেনু শালা যথা, কৈলা তাহ গো দোহন কাযে। "সব সখীগণ মেলা,
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।