গোবিন্দ লীলামৃত i ২৩ ভঙ্গ হৈল জানিলেন সব সখা অঙ্গনে আইল। হিহি২ শব্দে মধুমঙ্গল উঠিল। গমনস্থলনে কৃষ্ণ নিকটে আইলা নিকটে যাইয়া বটু উচ্চ করি ডাকে উঠ উঠ উঠ কৃষ্ণ চলহ গোষ্ঠকে । তার বাক্যে গতানদ্রা কৃষ্ণের হইল। ঘর্ণ পূর্ণ চক্ষে তবু উঠি তে নারিল । ক্ষীরোদকশায়ী যেন রতন মন্দিরে । অনন্ত রতন শয্যায় যোগনিদ্রা ছলে । প্রলয়কাল অবসশনে বেদমত যায়ে চেতন করায় তারে স্তবন করিয়ে ৷ এইমত ইহা এই ব্রজেশ্বরী মাতা। জাগায়েন কৃষ্ণচন্দ্রে সুস্নেহ মমতা। পর্যাঙ্ক উপরে। দিল নিজ ৰামকর অক্ষভার দিল সেই হন্তের উপর । অন্য হস্ত পদ্মনালে কৃষ্ণ প্রতি অঙ্গ ও মুখ দর্শনে বাঢ়ে প্লেমের তরঙ্গ ৷ নয়নে আনন্দ জল বহে অবিরাম ৷ স্তনদুগ্ধ ধারায় সেই শয্যা কৈল স্নান । বাৎসল্যে ব্যাকুলা হয়ে গদ২ বাণী । উঠ পুত্ৰ মুখপদ্ম দেখুক জননী ॥তোমার নিদ্রার ভঙ্গ ভয়ে তুয়া পিতা । আপনেই গোষ্ঠে গেল। গাৰী ৰৎস যথা ! উঠ পুত্র কর নিজ মুখ প্রক্ষালন , সখীসঙ্গে যায়ে কর গাবীর দোহন বলরামের নীলবস্ত্র কেনে তোমার অঙ্গে ৷ এতবলি সেই বস্ত্র নিরঞ্চয়ে রঙ্গে । অল্পে হৈতে নীলবস্ত্র ধনিষ্ঠাকে দিল। নখক্ষত অঙ্গ দেখি কহিতে লাগিলা । দেখ পৌণমাসী অঙ্গ অতি সুকোমল । তুলনা না করি নীল নলিনীর দল ॥বামুর হয়েছে অক্ষ কণ্টকের চিহ্ন 1,চঞ্চল বালক সনে খেলে রাত্রি দিন। নানা ধাতু রাগ চিহ্ন অঙ্গে লাগিয়াছে হাহা কি কারব ইহার উপায় কি আছে৷স্নেহভরে জননীর চিত্রপদ বাণী লজ্জা সচকিত তবে কৃষ্ণ তাহা শুনি কুঞ্চের সঙ্কোচ দেখি জীমধু মঙ্গল কহিতে লাগিল৷ কিছু মাতার গোচর। সত্য মাত কত
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।