२७ গোবিন্দ লীলামৃত । কৈল এই তোমার বদন। দেখিয়া হাসয়ে সব নলিনীর গণ । যদ্যপিও চন্দ্র পদ্ম আহতের স্থল । তথাপিও মুখ চন্দ্র পদ্ধ। হিত স্থল৷ গোপাল পাল ষে পশু পালের বালক । গোশাল মানাতে তারাভেল প্রবেশক ৷ এই মত মধুমঙ্গল করে পরি হাস । হাসে কৃষ্ণ সৰ সখী পরম উল্লাস ॥রাম মধুমঙ্গল আর সকল গোপাল। মধ্য করি যায় কৃষ্ণ আনন্দ বিশাল৷ কৈলা শ গণ্ড শৈল যেন মণ্ডলীর মাঝে। মহা ঐরাবত যেন কৃষ্ণচন্দ্র সাজে ॥ধবল ধবলী মধ্যে কৃষ্ণ প্রবেশিল । তাহাতে সুন্দর শোভা অতিশয় হৈল । শ্বেত পদ্ম বনে যেন মত্ত ভঙ্গ ঘুরে । হিহি গম্ভীর শব্দে প্রিয় গোপ ফুকারে’। গঙ্গা গোদাবরী নাম ধবলি সাঙলি কালিন্দী ধূম্ৰাতুঙ্গী যমুনা কৰ্মণী! হংসী ভ্ৰমরী নাম হরিণী করিণী। রন্ত চম্পা করি কৃষ্ণ করে হিহি ধূনি ॥ দুই জানু মধ্যে কৃষ্ণ ধরয়ে দোহনি। পাদপদ্ধ অগ্রভর করিয়া আপনি ॥দোহয়ে গাভির দুগ্ধদোহায় সখারে। বাছুরে পিয়ায় স্তন হরিয় অন্তরে ৷ লালন করয়ে যত ধেনু বৎস গণে । অঙ্গ মুছে করে কৃষ্ণ খঙ্গ কণ্ডয়নে এই ৰূপে করে কৃষ্ণ গোদোহন লীলা। বৎস চারণ আর সখা সঙ্গে খেল ৷ তবে ওথ স্ত্রীরাধিকা করিয়া শয়ন। রসাল সে নিদ্রা আর কুঞ্জ পথশ্রম ৷ মুখরা জাগিঞা ষায় নাত্নীজাগাইতে জটিল আইসে তথা দেখা হইল পথে। স্বভাব কুটিলা অতিমম্ব্যের জননী। পুত্রের সম্পত্তি বাঞ্ছে দিবস রজনী ॥মুখরাকে কহে যত পৌর্ণমাসী আজ্ঞা নীতকৰ্ম্মে পৌর্ণমালী অতি বড় বিজ্ঞা । ব্রজেশ্বরীর আজ্ঞ তুমি সদাই পালিৰে। জগ্রে বধূ প্রাতঃকালে স্নান করাইবে ॥ বস্ত্র আভরণ তার জঙ্গে পরাইৰে গোকোটি বৃদ্ধের লাগি সূৰ্য্য
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।