৩২ গোবিন্দ লীলামৃত। প্রবাল গাথনি ৷ তবেত হৃদয়েদিল মুক্তাগুচ্ছ মাল । মধ্যে স্বর্ণ কাঠি পাশ্বে যুগল প্রবাল । রাসে নৃত্য গান কৈল রাধ। বিনোদিনী । সুখি হঞ কৃষ্ণ দিল গুঞ্জামালা জানি । গুঞ্জ মাল। নহে সেই হৃদয়ের রাগে সমর্পণ কৈল কৃষ্ণ অতি অনুরাগে ৷ সেই মালা জানি ধনী ধরিল হিয়ায় । তাহার পরশে কৃষ্ণ পরশ জাগায় ৷ তবে একাবলি হার নায়ক সহিতে। স্থল তারাবলি যেন অম্বর উদিতে। চতুস্কি আনিএ তার হৃদয়েতে দিল । সূবর্ণশিকলি দিএ চতুদ্ধি গীথিল ইন্দ্র নীল রত্বে সেই চতুস্কি রচিল। পদ্মরাগ হীরা মণি কনকে খচিল ॥পটথোপ পৃষ্ঠদেশে ক্রমে নাম্বিয়াছে আকণ্ঠ হইতে শোভে নিতম্বের কাছে । নিতম্ব পৰ্ব্বত হৈতে বেণী ভূজঙ্কিণী । মস্তকে উঠিতে কৈল সোপান সাজান ৷ স্বর্ণাঙ্গদ ভূজে দিল বিশাখা আনিএs কাল পটডোরি রত্ন মালাতে রচিয়া । তাছা দেখি কৃষ্ণচন্দ্র মহাস,খ পায় । হেনসে অঙ্গদ শোভা কহনে না যায় ৷ নীল রত্ন বলয়। তবে দিল দুই করে। যে শোভা হইল তাহ কে কহিতে পারে রক্তপদ্ম মৃণালে যেন মধু বিগলিত। তাহাতে রহিল যেন ভ্রমরবেষ্টিত। বর্ণ কঙ্কণ দিল তাহার উপরে যুক্তাবলি শোভে তাহে অতি মনোহরে ৷ সৰ্য্যের মণ্ডলে যেন চন্দ্র বিশ্ব গণ। উদয় সময়ে যেন শোভা এই মন ॥স বর্ণ মাদুলি অতি শোভিয়াছে করে । পটথোপ নাছিয়াছে তাহার অন্তরে ॥ অনেক রতনে কৈল থোপের সাজান । এই ৰূপ হন্তে মণি বন্ধের বন্ধনি ৷ অদ্ভুত রত্ন মুদ্রিক অঙ্গুলিতে দিল । বিপক্ষ মর্দন নাম তাখাত লিখল ॥আশ্চৰ্য্যকটক ছিল চরণযুগলে নানা রত্ব অ’ তুতে ধরে ঝলমলে । তার ধনি যেন মত্ত হংস
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।