\98 গোবিন্দ লীলামৃত। আশ্চৰ্য্য এই রসময় গাঁথা ৷ ওথা ব্রজেশ্বরী কৃষ্ণ ভোজন লাগিয়া 1 করেন সামগ্ৰী চেষ্টা উৎকণ্ঠিত হঞ l। যদ্যপিহ নিজং কার্য্যেদাস দাসী । বাগ্র আছে তথাপিহ ব্ৰজেশ্বরী আসি ৷ কহিতে লাগিলা দাসী আহ্বান করিয়া । কৃষ্ণ স্নেহ পরিপাকে স্বপিত হইয়া'। রন্ধন সামগ্রী কর শীঘ্র হয় যাতে এখনি আসিবে কৃষ্ণ গোঠেত হইতে ॥.প্রাতঃকালে দেখিয়াছি বড় ক্লশ অঙ্গ । অতএব শীঘ্র কর রন্ধন প্রবন্ধ ৷ শাক মূল ফুল ফল আস্ত্রকাদি করি। আম্রচুর্ণ ছাকাণ্ডষ্ঠী হরিদ্রাদি করি। মরিচ কপুর চিনিজির ক্ষীর সার তিম্ভডি হিঙ্গ,ত্রি জাত সুমথিত আর. সৈন্ধব বটিকামার নারিকেল শস্য। তৈল গোধুমচূর্ণ লইবে অবশ্ব ॥ ঘৃত দধি আর তুলসী ধ। ন্যের তৎল।সকল লইয়া যাই রন্ধনের পুর। বকনাগাবীর ছদ্ধ আছয়ে প্রচুর। ব্রজেন্দ্র পাঠান যাহা পায়সানুকূল। এই সব দ্রব্য লইয়া যাও পাকস্থলে । সেই২ কাৰ্য্য তারা যত্ন করি করে । বাৎসল্যে প্রেমিত চিত্ত সদানের ঝরে । রোহিণীকে ডাকি তবে ব্রজেশ্বরী বলে ॥ রামকৃষ্ণ পৃষ্ঠেযাই লাগিল উদর দেখিয়াছে প্রাতঃকালে বড়ই দুৰ্ব্বল ৷ বলিষ্ঠ বালক সঙ্গে বাহুযুদ্ধ খেলা । নানা পরিশ্রমে ক্ষুধা তৃষ্ণ হৈয়া গেলা । তাতে কালি রাত্রে কিছু ন কৈল ভোজন। দুর্বল ভ্ৰমে লয়ে সৰ সখীগণ ॥ক্ষণমূৰ্ত্তি দেখি মনে লাগিয়াছেডর।ভালমতে কর পাক যাতে মিষ্টতর। অতিশীঘ্ৰ গিয়া তুমি করহ রন্ধন। অপূৰ্ব্ব পিষ্টক আদি উত্তম ব্যঞ্জন ॥হেন সে করিবে পাকযেন রামকৃষ্ণ পরম রুছিতে ভুঞ্জে হইয়া সভৃষ্ণ এত কহি দাসী গণদিলতার সঙ্গে রন্ধন সামগ্ৰী লৈয়া গৈলা তেহে রঙ্গে ।
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।