গোবিন্দ লীলামৃত। N2(。 কৃষ্ণ রুচিদ্রব্য লাগি ব্যগ্র ব্রজেশ্বরী। মিষ্টান্ন করিতে আন রাধিকাসুন্দরী। উপনন্দের পুত্র হয় যুদ্র আখ্যান। তার পত্নী কুন্দলতা আইলা তাঁর স্থান। ব্রজেশ্বরী পাদপদ্মে করেন প্ৰণাম। তিহেঁ কহে আইসবাই বাঢ়ক কল্যাণ ॥ তারে কহে ব্ৰজেশ্বরী আইস কুন্দলত । তুমি যাঁঞা আনগিয়া বৃষ ভানু সুত ॥অমৃত মধুর তার হন্তের রন্ধন । রুচি জন্মাইয়া রুষ করিবে ভোজনাদুৰ্ব্বাস মুনির বর পুৰ্ব্বে আছে তারে । সুধা সম হয় সেই যেই পাককরো যে তাহা ভুঞ্জয়ে তার আয়, বৃদ্ধি হয়ে । এতু সবলাহু আর কারপাকে নহে ॥শাশুড়ীকে বলে তার আমার সম্বাদ । আনহ ত্বরিতে রাই ঘুচুক বিবাদ এইমত প্রতি দিন কুন্দলতা দ্বারে । আনয়ে রাধিক তেহোঁ। রন্ধনের তরে। ব্রজেশ্বরীর বাক্যে আনন্দিত কুন্দলত । পরম আনন্দে ভেল তনু প্রফুল্লতা । রাধিক ভ্রমর মধুস্থদনের সঙ্গ । করিতে বাঢ়িল তার উৎকণ্ঠ তরঙ্গ ৷ তৎকাল আইলা তেহে জটিলার স্থানে। যশোদা সন্দেশ কথা কহিলা যতনে ব্ৰজেশ্বর আজাশুনি জটিল চিন্তিত কৃষ্ণক বধূর শঙ্কা করে বিপরীত। কহিতে লাগিল তিহোঁ কুলন্দতা প্রতি ছিদ্র দ্বেষ লোক দেখি শঙ্কা পাই অতি ॥বধূ মোর সাষ্ট্ৰীগুণ গরিম প্রচুর। সৌন্দর্ঘ্য নবীন বয় মাধুৰ্য মরবিড়ই চঞ্চল সেই ব্রজেন্দ্র নননি। লংঘিতে না পারি ব্রজেশ্বরীর বচন । এইত কারণে চিত্তন চলে আমার । নিশ্চয় করিতে নারি হৃদয় বি চার। এত শুনি কহে কুন্দলতা তারে বাণী। যে কহিলে সেই সত্য শুনহ জলনী ব্রজেন্দ্র নন্দনধৰ্ম্মস্বৰূপ সৰ্ব্বথা ॥,খল । লোকে তোমারেত কহে এই কথা ৷ সূর্যের উদয় যেন কৃষ্ণের
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।