७७ গোবিন্দ লীলামৃত। চরিত। ধৰ্ম্ম পদ্মগণ সদা করে প্রফুল্ল চ । অধৰ্ম্ম তিমিরগণ সব নাশ করে ৷ খললোক যুক যায় বৃক্ষের কোটরে ৷ ব্ৰজ বাসি চক্ৰবাকী আনন্দ বাঢ়ায়ণ এইমত কৃষ্ণ অঙ্গ হয় মাধুর্য্য ময়।কিন্তু কৃষ্ণ অঙ্গ হয় মাধুৰ্য্য আলয়। জগত যুবতী, চিত্ত সদা আকৰ্ষয়। তোমার নবীন বধূ পালন উচিত। কৃষ্ণ প্রতি তুমি কিছু না করি ভীত ॥রাধিকার ছায়া কৃষ্ণ না দেখে যেম নে৷ এইমত লৈয়া যাব ব্রজেশ্বরী স্থানে । পুনৰ্ব্বার আমি তো মায় করি সমর্পণ। তবে নিজ গৃহে আমি করব গমন । এত শুনি সুখী হঞা জটিল কহয়।সাধু প্ৰগলভ তুমি সবে ইহ কয় ৷ অবলা আমার বধূসমাপন্ন তোর চঞ্চল কৃষ্ণের নেত্র যেন নাহি পড়ে। এত কহি বধ প্রতি কহিতে লাগিলা ! যাও ব্রজেশ্বরী স্থানে তোম। বোলাইলা । তৎকাল আসিহ পুনঃ কুন্দলত সঙ্গে। সূৰ্য্য পুজিবারে যাবে যে আছে নিৰ্বন্ধে শুনি য়া রাধিক মনে উল্লাস হইল। অনিচ্ছার প্রায় হৈয়া কহিতে লাগিলা । যাইতে নারিব গৃহে আছে প্রয়োজন । ঘরে ঘরে ফিরে কেবা কুলাঙ্গনাগণ । জটিলাহ পুনঃ কহে আগ্রহ করিয়া যাওঁ বাছা ব্রজেশ্বরীর আজ্ঞা পালগিয়া ॥তবে কুন্দলতা তারে আগ্রহ করিয়া। কহিতে লাগিল। রাই হন্ত আকৰ্ষিয়। আমি তুয়া সঙ্গে যাব কেন কর ডর। চল লঞা যাব ব্রজেশ্বরীর গে। চর ॥শুনিয়া উঠিলা রাই আনন্দ অন্তরে । প্রফুল্ল হইল তনু অতি মনোহর ৷ কৃষ্ণের ভক্ষণ দ্রব্য লভূডুকাদি গণ । লইল ললিত। দেৰী করিয়া যতন ॥ আউলায়ে রাধা অঙ্গ আনন্দ আৰেশে! মন্থর গমনে চলে অত্যন্ত হরিষে ॥প্রজনী বিলাস চিহ্ন অঙ্গেত দেখিয়া উপহাস করে কুন্দলত যে হাসিয়া ॥
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।