গোবিন্দ লীলামৃত। ७१ যথারাগঃ দেখিয়। রাধিক বুক, কুন্দলত পায় সুখ, পরিহাস করিতে লাগিলা। চিরদিন ভূয়া প্রতি, গোষ্ঠেতে গমন সতী, নখচিহ্নকেবাবুকে দিলা । তুহু ধনি সতী কুলনারী। অস্তর সহিতে হাস, সদা গদ২ ভাষ, সব তনু ভোগচিহ্ন ধারি। ধ্রু॥অধরহঞাছে ক্ষত, সাধ হয়। এ চরিত, দেখি মনে লগয়েতরাস। শুনি কুন্দলত বাণী, হরষিত হইলা ধনী, কুঞ্চিত নয়ন মৃদুহাস ॥ ললিতা কহয়ে শুন, কারণ আছয়ে পুনঃ, কাহে কহ সন্দেহ বিচারি। করক ফলের ভ্রমে,রাধিক যুগল স্তনে, বৈসে কীর মখাঙ্ক তাহারি ॥ অধর বান্ধুলী শোভা, দেখি কীর হৈল লোভা; বিশ্বভ্রমে দশনে দংশিল । তাহার অাছয়ে চিহ্ন, সন্দেহ না কর ভিন্ন, সেই সে কারণে ক্ষত হৈল । শুনিয়া রাধা দুহু বাণী, কৃষ্ণ লীলা মনে আনি, কম্প হৈল সুখ ময় অঙ্গে । পুনঃ কুন্দলতা হাসে, রসময় পরকাশে, কহে বাক্য আনন্দ তরঙ্গে ৷ কুন্দলতার দেবর, মধুসূদন নাম ধর, শুন পদমিনী মধ,পিল । পুনঃ আসিবেন এথ,শুনহ আমার কথা, বৃথা কম্প তোহে কেন ভেল ॥পদ্মা কহে পদ্মছলৈ, এমতি রাইরে বোলে,শুনি-চিত্তে আনন্দ বাঢ়য় । কহয়ে ললিতা তবে, শুন কুন্দলতা এবে, এলাগি পদ্মিনী কম্প নয়। সৎ পদ্মিনী মৃছ অতি, ভ্রমরা উন্মত্ত মতি, চঞ্চল দেখিয়া তনু কাপে। মিত্রে অনুরাগ সদ্গ, জানিয়!তাহাতে রাধা, এযদুনন্দন মনে জপে । এই মত নৰ্ম্ম ভঙ্গি করি চলি যায় । চলিতে না পারে রাই , উলাসল গায় ৷ ভাবের উম্ভাবে ভৈল বিভাবিত চিত । গাঢ় অনুরাগ ভেল হৃদয়ে উদিত কৃষ্ণ দরশনেভেল লালসা অন্তর তরলিত চিত্তে আইল ব্রজেশ্বরীর ঘর অসিয়। ধারণ এঞ্জে
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।