গোবিন্দ লীলামৃত । 8、う দ্বিবিধ হইলা ৷ মৃদ্ধরম্ভ গৰ্ভখণ্ড কুম্মাণ্ডের খণ্ড । সিতাদধি যোগে অয় মাধুৰ্য্যের খণ্ড। লালিত সুলুপ আরমেথি সুমহুরি পটোল বাস্তুক শাক প্রকারাণ্য করি । নটিয়া সুসান শাক যোগ ভেদ দিয়া । পালঙ্ক পড়িঙ্গ শাক পৃথক করিয়া ॥ কাঁচা'আমু তিন্তিড়ি দিয়া কলম্বি লালিত । যোগ ভেদ স্বাদু ভেদ অমৃত বঞ্চিত ৷মোট মঞ্চ মাষ সূপবিধ প্রকার। অমৃত কুপ নিন্দে সে মিষ্টিত ইহার ॥ গোধূমের রুটা হৈল পুর্ণ চন্দ্রাকার। অতি মৃদ্ধ অতি শুভ্র মাধুর্য্যের সার। সূক্ষ্মশাল্য সুতণ্ডল সূক্ষবাসে করি । জালে জাল দিতে আছে কৃষ্ণ মুখ হেরি। স্ত্র অন্ন ব্যঞ্জন সব প্রস্তুষ্ট হইল । ষেবা নাই হয় সেই জানিবে হইল। এৰূপে রোহিণী ক্রমে সব দেখাইলা । দেখি শুনি ব্রজেশ্বরী বহু সুখ পাইলা । সৌরভ্য সদ্বর্ণ দেখি ব্রজেশ্বরী মাতা । জিজ্ঞাসে কেমনে হৈল হইয়া বিস্মিত । কহেন রোহিণী দেবী সবিস্ময় চিত। কি কহিব রাধিকার কৌশল রচিত ৷ সেই সব সামগ্ৰী মাত্র অন্য কিছু নয়। গান্ধৰ্ব্বা পরশে সব সুধাময় হয়। তবে ব্রজেশ্বরী স্নেহে রাধিক দেখিলা । গায়ে,ধৰ্ম্ম শ্রান্ত দেখি ব্যথা বড় পাইলা ৷ দাসীগণে কহে শীঘ্র ব্যজন করিতে। অবনতমুখিরাই হৈলা লজ্জাতে। তবে ব্রজেশ্বরী মাতা গেল দুগ্ধ ঘরে। তাহ দেখি আইলা মাত লঘু বহিদ্বারে । ব্যগ্র হঞা ফিরে মাতা,কৃষ্ণ স্নেহভরে । এমত স্নেহের কথা কে কহিতে পারে। এইত কহিল কৃষ্ণরন্ধনের কৰ্ম্ম । যাহা শুনি তৃপ্ত হয় শ্রবণের মৰ্ম্ম 1 সংক্ষেপে লিখিল ইহা কে করে বিস্তার। গোবিন্দ e লীলামৃতে আছে এসব প্রচার। কৃষ্ণদায় কবিরাজের ব্রজেতে । বসতি ৷ সাক্ষাতে দেখিয়া তেহে বিস্তারিল অতি ॥ তাহার চরণে করি প্রণতি অপার। যাহা হৈতে হুৈল গোবিন্দ লীলার
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।