(to গোৱিন্দ লীলামৃত। এইকালে ব্রজেশ্বরী জাইলা তার পাশ ৷ ব্ৰজেশ্বরী মনে রাই রন্ধন করিতে । শ্রমজলুে হঞাছেন সৰ্ব্বাঙ্গ পুরিতে । রোহিণীকে কহে, দেবী ত্বরিত হইয়। ভোজন করাহ শীঘ্র রাধিক লইয়। তবে ধনিক্টিক দ্বারে রামের জননী । অন্ন ব্যঞ্জন পাঠায় করিয়ু সাজনি। ধনিষ্ঠ গোপনে আনে কৃষ্ণের শেষান্ন। একত্র করিয়া দিল মিষ্টান্ন পক্কান্ন ॥লজ্জাতে রাধিক তাই না করে ভোজন 1পট্রাঞ্চলে ঝাপি ধনী রহিলা বদন । দেখি স্নেহে ব্যাকুলিত কৃষ্ণের জননী অধিক বাৎসল্য কহে অতি মিষ্টৰাণী৷ আমাকে এতেক লজ্জা কুর কেনে তুমি এমতি জানিহ আমি তোমার জননী ॥কৃষ্ণকে দেখিতে যত সুখ পাই আমি। তত সুখ তোমা দেখি জুড়ায়ে পরাণি । আমার সাক্ষা তে আজি করহ ভোজন। দেখিয়া জুড়ায় যেন আমার নয়ন। নিছনি যাইয়ে তোমার রূপ গুণ কাযে আমার শপথ যদি আর কর লাজে 11 ললিতা বিশাখ বাছ চম্পকলতিকা ৷ তোমা সবা প্রতি মোর বাৎসল্য অধিৰণ । লজ্জা ছাড়ি সবে মেলি করহ ভোজন । তোমরা ভোজন কৈলে স্থির হয়ে মন ৷ এইমত বাৎসল্যে শত শত দিব্য দিল। সুমিষ্ট বুচনে মিষ্টান্ন খাওয়া ইলা । ভোজন করিয়া তারা আচমন কৈল । তাম্বল কপূর মালা সবাকারে দিল ৷ কৃষ্ণের বিবাহ দিতে বাঞ্ছা ত্ৰজেশ্বরী। নব বধু লাগি রত্ন অলঙ্কার করি। রাখিছিল। তাহা এবে ব্রজে শ্বরী মাতা । আনায় ধনিষ্ঠ দ্বারে অতি হরষিত ৷ তাম্বল চন্দন পাণ নুতন অম্বর । হেমপাত্রে করি দেনরাইর গোচর। নবীন বধূর প্রায় করেন লালন । ব্রজেশ্বরী স্নেহকথা না যায় কথন। তবে রাত্রে পরিবর্ত যে বস্ত্র হইল। নীলবস্ত্র বিশ খারে ধনিক্টিক দিল ॥ বিশাখাত পীতবাস সুবলেরে দিল
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।