গোবিন্দ লীলামৃত। @いう শ্বেতারুণ বৎস সব যেন হংস কোক। জলজন্তু প্রায় সব আব রণ লোক ॥ ধবলার পাতি যেন স্রোত বহি যায় । গোধনের পুচ্ছ সব সিয়ালির প্রায় ৷ এই মত স্থান দেখি কৃষ্ণ সুখি হইল ব্রজেন্দ্র ঠাকুর কৃষ্ণ অনুত্তজি আইলা ! কৃষ্ণ সঙ্গে চলে সব ব্ৰজবাসী যত। ধেনুগণ হৈলা কৃষ্ণ সঙ্গ অনুগত ॥গে রজে ভরিল সব এ ভূমি আকাশ ৷ ব্ৰহ্মা শিব-ইন্দ্র চিত্তে বিস্ময় বিকাশ।মহীষের পাতি দেখি কহয়ে যমুন। ধবলার পংক্তি কহে গঙ্গার ঘটনা । গোরজঃ দেখিয়া কহে এই সরস্বতী। সব দেবগণ মনে ত্রিবেণীর গতি ৷ যেখানে২ কৃষ্ণ পাদপদ্ম পড়ে । সেখানে সেখানে ব্রজভূমি সেবাকরে। হৃদয় কমল নিজ করে পরকাশে তাঁতে পদধরি কৃষ্ণ চলেন হরিষে।কৃষ্ণ পাদস্পর্শে ভূমি আনন্দ পাইলা পরম হরিষে অঙ্গে রোমাঞ্চ হইলা । তৃণ আদি রোম সব নবীন হইলা । খুরে ক্ষত অঙ্গ ভূমি সে সর ভৈগেলা ॥ বৃদ্ধ যুবা বালকৃাদি যত ব্ৰজবাসী । ব্রঙ্গাচল হইতে কৃষ্ণসিন্ধু মধ্যে আসি ৷ প্ৰিতৰূপ জলে শোভে নেত্র পক্ষগণ। পরম সংজ্রম গতি সেই শ্রোত সম । তবে ব্রজেশ্বরী স্তন নয়নশ্ৰুবয়। অম্বা কিলিম্বা সঙ্গে ধাত্ৰী যত হয়। রোহিণী ঠাকুরাণী আইল সেইসঙ্গে। সবার নয়নে বহে অশ্রুর তরঙ্গে রাধিক আইলা নিজ সখীগণ সঙ্গে । ক্লষ্ণ রসার্ণবে, পৈশে নয়ন তরঙ্গে n মঙ্গলা শু্যামলী ভদ্রাপালি চন্দ্রাবলী । নিজ সখী সঙ্গে সব আইলা যুথেশ্বরী ॥ ব্রজের বসতি স্থল শূন্য হৈল সৰ। পত্ত্বি দূরে গেলে যেন নারী অনুভব। ব্রজের বসতি স্থল নিঃশব্দ হইল । খ্ৰীকৃষ্ণ বিচ্ছেদে সব বিহ্বল হইল্লা ! জন গতি হীন হৈল স্পন্দন আলাপ . গোরজে মলিন অঙ্গ’ বিরহের তাপ ॥গ্রীবা ফিরি দেখি কৃষ্ণ রছিলেন যবে । সকল
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/৬০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।