(t& গোবিন্দ লীলামৃত | গোধন স্থির হঞা রহে তবে । দেখে কৃষ্ণ মাতা পিতা আইসে ধাইয়া। জডাকার তারা পাছে,অভদ্র লাগিয়৷ অনন্ত শঙ্কাতে ভীত নন্দ যশোমতী l অশ্রুঞ্জলে পুনেত্র চলে শীঘ্ৰগতি ॥ দেখি মাত পিতা কৃষ্ণ মহাদুঃখি হৈলা । তা সবারে দেখি কৃষ্ণ চলিতে নারিলা । ব্রজাঙ্গনা নেত্ৰগণ ভ্রমরীর পাতি । কৃষ্ণ মুখপদ্মে আসি পড়ে মধু মাতি ॥ লজ্জা ৰূপ মহাবায়ু লংঘন করিয়া । কৃষ্ণ মুখমধু পিয়ে হরষিত হৈয়া । যৈছন ভ্রমর মধু তুষাৰ্ত্ত হইয়। পানকরে পদ্মমধু বাতাস লংঘিয়। রাই মুখপদ্মে নাচে লয়ন খঞ্জন। দেখি কৃষ্ণ মনে কহে যাত্র বিলক্ষণ । অতি সুমঙ্গল মানি আনন্দ হইল যাহা লাগি যাত্র। কৈল সে ফল পাইলা । কৃষ্ণের সখার মাতা সবেই আইলা । অশ্রুনেত্ৰে দেখি কৃষ্ণ স্নেহেতে বিহ্বল৷ নিজ নিজ পুত্র সব কেহ নাহি দেখে । সবে নিমগন হৈল কৃষ্ণ স্নেহ সুখে ৷ এ ৰূপে বেষ্টিত সব ব্ৰজবাসীগণ । তবে ব্রজেশ্বরী ক্লফে করেন লালন । বিমনা হঞাছে যদি ব্রজেশ্বরী মাত । তথাপি অন্তরে কুরে কৃষ্ণ শুভচিন্তা ৷ অত্যন্ত স্নেহেতে যদি হস্তাদি অবশে। তথাপিহ হন্তে লালে শ্ৰীঅঙ্গ পরশে ॥মাতা কহে শত শত আছে গোপগণে । বড়ই নিপুণ তারা গোধন চারণে।তথাপিহ বাছা তুমি আগ্রহ করিয়া । গোধন পালন কর বনে প্রবেশিয়৷ অতি মূছ তনু তাতে এ বাল্য বয়েস । নিঃছত্র পাদুকা তাতে হয় মহাক্লেশ। সমস্ত দিবস বনে করহ ভ্রমণ। কৈছে রহে তুয়া মাতা পিতার জীবন। এই ছত্র পাদুকা পুএ কর অঙ্গীকার। এরূপ আগ্রহ মাতা ফরে বার বার ॥ শুনি কৃষ্ণ ফহে তারে সব নীতকৰ্ম্ম সছত্ৰ পাছক নহেগোচমণ ধৰ্ম্ম ৷ গোগতি যেমন তেন আপনার গতি । গে। রক্ষণ
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।