৬২ গোবিন্দ লীলামৃত। ওহে বনসখী এবে শুনহ বচন । মাধব আইলা বনে ঘুচাহ ঘূর্ণন ॥ বড়ই উল্লাস পাঞা নিজ নিজ গুণ । প্রকাশ করহ সবে করিয়া দ্বিগুণ ॥ রাধিকার স্মরণ যাতে ক্লষ্ণ চিত্তে হয় । যেমতে দেখেন কৃষ্ণ সব রাধাময়।যদি রাধাকৃষ্ণ বিলসয়ে এই বনে । তবে সে তোমার শোভা সাফল্য কারণে 11 নিদ্র ত্যজ লতা বৃক্ষ বিকসিত হও কুন্দন করহ মূগী পিক ভূঙ্গ গাও। শিখি সব নৃত্যকর শুক পড় পাঠ ৷ স্থিরচরানন্দ কর যার যেই ঠাট। তোম। সব সুখ দিতে কৃষ্ণ আইলা এথা । তোমা সবা প্রিয়কৃষ্ণ জানহ সৰ্ব্বথা ।তবে কৃষ্ণ বৃন্দাবনে যবে প্রবেশিলা । অচেতন বৃক্ষলতা বিচ্ছেদ জানিলা ৷ নিজ প্রিয়াটৰী নিজ বিরহ আগুণি পোড়া দেখি কৃষ্ণ তবে করে বংশীধূনি । সে ধূনি অমৃত বৃষ্টি যবে বনে হৈলা । কৃষ্ণ মেঘ আগমন ধূনিতে কহিলা। বংশীধূনি সুধাবৃষ্টি বায়ু কৃষ্ণ অঙ্গে। পাইয়া চেতন হৈল বৃন্দাবন রঙ্গে ॥ প্রাণী মাত্র ধৰ্ম্ম সব হৈলা বিপৰ্য্যয় । সাত্বিক বিকার সব শ্বিরচয়ে হয় । স্থাবরের অঙ্গে হৈল কম্পের উদয় । জঙ্গমে হইল স্তব্ধ জড় মত হয় ৷ পাষাণ হইল জল স্বেদের আশ্রয়। সূশ্বেত কুসুম বন বিবর্ণভা হয় । পুষ্পে মধ পড়ে সেই অজ্ঞ বরিযয় পশুপক্ষি শব্দ করে স্বর ভঙ্গময় লতাতে অঙ্কুর সেই পুলকে পুরিত এই সব সাত্বিক বনে হুৈল ব্যাপিত ৷ আনন্দে চেতন হৈল প্রণয়ের কায । সৰ্ব্বত্র জানিবে ইহা বিস্তারে কি কায ॥কৃষ্ণ আগমন বন জানিঞা নিশ্চয় কৃষ্ণ সুখ লাগি বেশ সৰ্ব্বাঙ্গের চয়। প্রফুল্প নলিনী আর হাসে লর্তাগণ নাচে পুনঃ লতা বায়ু শিখায় নৰ্ত্তন. সৈত্য সে গন্ধ বহে ত্ৰিবিধ বাতাস ৷ সৰ্ব্বেন্দ্রিয়াহাদকে সৰ্ব্ব শ্রম নাশ ভূঙ্গ পশু শব্দছলে করে বহু গান । পাকি পাকিপড়ে ফল
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।