পাতা:গোলকুণ্ডা - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূভীয় দুকুশ্য [। গোলকুণ্ডার সম্মুখস্থ প্রান্তর } আওরঙ্গজেব ও কুলীৰ্থ আও। এগিয়ে যাও এগিয়ে যাও-মোগলের জয়োল্লাস, আর বাগনগরীর আর্তনাদের পশ্চাতে ও কি বিজয়োচ্ছাস সহসা আকাশ আক্রমণ করে” ফেললে! যাও যাও জলদি কুলীৰ্থ ! কুলী। আপনাকে একা রেখে কেমন করে যাব ! আও। তোমার রক্ষায় জীবিত থাকতে আওরং জেব জন্মগ্রহণ করেনি ? এখনি যাও—উচ্ছাস মোগলের উল্লাসকে গ্ৰাস করতে করতে যেন এই দিকে ছুটে আসছে? খবরা-খবর—এখনি যাও। নইলে আমিই তোমাকে হত্যা করে নিঃসহায় হব ! ( কুলীখার প্রস্থান ) জলদি, জলদি ? এ তে মোগলের উল্লাস নয় ? বিজয়ের মুখ-ফেরানো অশ্বারোহী ? একি, কে এলো ? কে এসে আমার বিজয়কে পণ্ড করলে ? মিরজুমলা? বিশ্বাসঘাতক হ’ল কি মীরজুমলা ? তার স্ত্রী পুত্র কারাগারে! না-না-কল্পনা হবে মিথ্যাবাদী। তবে কে এ ? ওই যে পলায়নপর মোগল ছত্রভঙ্গ হয়ে চারিদিকে ছুটছে। কে এ কে এ ? [ অৰ্দ্ধনিৰ্ম্মিত মিনারের উপর হইতে হাসির শব্দ তার কাণে প্ৰবেশ করিল। তিনি দেখিলেন, এক ফকীর, মিনারের উপর দাড়াইয়া দুই বাহু উৰ্দ্ধ করিয়া তীব্র দৃষ্টিতে নগরের দিকে চাহিয়া আছে, ফকীর নসরৎ সী। আর একবার উচ্চহাস্য করিয়া নসরৎ মিনার হইতে অবতরণ করিতে লাগিলেন। সৰ্ব্ব নিম্নে আসিতেই আওরঙ্গজেব জিজ্ঞাসা করিলেন “কে আপনি” ? ] নস। এইত দেখতেই পাচ্ছি। আও। উপরে দাড়িয়ে তীব্র দৃষ্টি দিয়ে কি দেখছিলেন ?