লেখমালা।
সংযুক্ত; তাহাতে “শ্রীমহীপালদেবস্য”; এবং প্রথম পৃষ্ঠে ৩৪ পংক্তি, অপর পৃষ্ঠে ২৮ পংক্তি সংস্কৃতলিপি-পরিচয়। ভাষা-নিবদ্ধ পদ্যগদ্যাত্মক লিপি উৎকীর্ণ রহিয়াছে। এই তাম্রশাসনের যে স্থানে রাজ্যাব্দ উৎকীর্ণ হইয়াছিল, তাহা কে যেন চাঁছিয়া ফেলিয়াছে। সুতরাং ইহা মহীপালদেবের শাসন-সময়ের কোন্ বৎসরের লিপি, তাহা নির্ণয় করিবার উপায় নাই। প্রথম পৃষ্ঠায় ১৩ পংক্তি পর্য্যন্ত সুখপাঠ্য; তাহার পর আর যাহা কিছু উৎকীর্ণ হইয়াছিল, তাহা কালপ্রভাবে স্থানে স্থানে অস্পষ্ট হইয়া পড়িয়াছে, এবং দুইটি অক্ষর একেবারে বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। অন্যান্য তাম্রশাসনোক্ত পাঠের সহিত মিল করিয়া, এই তাম্রশাসনের অস্পষ্টাংশের পাঠ উদ্ধৃত হইল। এই শাসন-লিপির গদ্যাংশে বর্ণাশুদ্ধির আতিশয্য। “শ-কারের” বর্ণবিন্যাসেই গোলযোগ কিছু অধিক। বাঙ্গালী হৃষিকেশকে “রিশিকেশ”রূপে উচ্চারণ করিয়া থাকে। ইহাতে সেই বর্ণবিন্যাসই দেদীপ্যমান! যে সকল অস্পষ্টাংশের পাঠ যোজনা করা হইয়াছে, তাহা [] এইরূপ বন্ধনীর মধ্যে; এবং যে সকল বর্ণাশুদ্ধি সংশোধিত হইয়াছে, তাহা () এইরূপ বন্ধনীর মধ্যে প্রদর্শিত হইল।
ইহার বংশবিবৃতি-সূচক শ্লোকাবলীতে গোপাল, ধর্ম্মপাল, দেবপাল, প্রথম বিগ্রহপাল, নারায়ণপাল, রাজ্যপাল, দ্বিতীয় গোপাল, দ্বিতীয় বিগ্রহপাল এবং তৎপুত্র [প্রথম] মহীপালদেবেরলিপি-বিবরণ। নাম উল্লিখিত আছে। এতদ্বারা পরমসৌগত মহারাজাধিরাজ শ্রীবিগ্রহপালদেব-পাদানুধ্যাত [২৫ পংক্তি] পরমেশ্বর পরমভট্টারক মহারাজাধিরাজ শ্রীমন্মহীপালদেব [৩০ পংক্তি] বিলাসপুর-সমাবাসিত-জয়স্কন্ধাবার হইতে [২৯ পংক্তি] শ্রীপুণ্ড্রবর্দ্ধনভুক্তির অন্তর্গত কোটিবর্ষ-বিষয়ের অধীন গোকলিকা-মণ্ডলান্তঃপাতি কুরটপল্লিকা-গ্রাম [৩০-৩১ পংক্তি] গঙ্গা-স্নানান্তে [৫০ পংক্তি] ভট্টপুত্র-হৃষিকেশ-পৌত্র, ভট্টাপুত্র-মধুসূদনপুত্র, ভট্টপুত্র-কৃষ্ণাদিত্য শর্ম্মাকে বিষুব-সংক্রান্তির শুভ দিনে দান করিয়াছিলেন। ভট্ট শ্রীবামন মন্ত্রী ইহার “দূতক” [৬১ পংক্তি] ছিলেন; পোসলী গ্রামাগত বিজয়াদিত্য(?)পুত্র [৬২ পংক্তি] মহীধর শিল্পি-কর্ত্তৃক এই তাম্রশাসন উৎকীর্ণ হইয়াছিল।
প্রশস্তি-পাঠ।
१ ॐ स्वस्ति॥
मैत्रीं कारुण्यरत्न-प्रमुदि-
२
त-हृदयः प्रेयसीं सन्दधानः
सम्यक् सम्बोधि-वि-
३
द्या-श(स)रिदमलजल-क्षालिताज्ञानपङ्कः।
৯২