বঙ্গানুবাদ।
(৭)
[সেই নারায়ণপালদেবের] শ্রীরাজ্যপাল নামক ভূলোক-পালক পুত্র জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। তিনি অগাধ-জলধিমূলতুল্য-গভীরগর্ভ-সংযুক্ত জলাশয়ের এবং কুলাচল-তুল্য সমুচ্চকক্ষ-সংযুক্ত দেবালয়ের প্রতিষ্ঠা করিয়া,[৩] খ্যাতিলাভ করিয়াছিলেন।
(৮)
তাঁহার [ঔরসে] এবং রাষ্ট্রকূটকুলচন্দ্র উত্তুঙ্গ-মৌলি তুঙ্গদেবের[৪] দুহিতা ভাগ্যদেবীর [গর্ভে] পূর্ব্বাচলোদিত তপনতুল্য গোপালদেব জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। তিনি অনেকরত্ন-দ্যুতিখচিত-চতুঃসিন্ধু-বস্ত্রবিভূষিতা অনন্যানুরক্তা বসুন্ধরার একমাত্র ভর্ত্তা হইয়া, দীর্ঘকাল রাজ্যভোগ করিয়াছিলেন।
(৯)
উৎসাহশক্তি-মন্ত্রশক্তি-প্রভুশক্তিসম্পন্না[৫] রাজলক্ষ্মী, সুশীলার ন্যায়, বসুন্ধরা-সপত্নীর মনোরঞ্জন করিয়া, চারুতরানুরাগে সেই রাজগুণ-বিভূষিত স্বামীর সেবা করিয়াছিলেন।
^(২০-২১) অনুষ্ঠুভ্।
- ↑ পোসলী-গ্রামের নাম আমগাছি-লিপিতেও উৎকীর্ণ রহিয়াছে।
- ↑ বিজয়-নামটি অস্পষ্ট এবং অনুমান-মূলক।
- ↑ বরেন্দ্র-মণ্ডলে এরূপ অনেক জলাশয় এবং দেবমন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। যাহার সহিত কাহারও নামের সম্পর্ক নাই, সেগুলি কোন্ সময়ের কাহার কীর্ত্তি বিঘোষিত করিত, এখনও তাহার যথাযোগ্য অনুসন্ধান আরব্ধ হয় নাই।
- ↑ ১৮৯২ খৃষ্টাব্দে [এই তাম্রশাসনের সমালোচনায়] অধ্যাপক কিল্হর্ণ (Indian Antiquary, Vol. XXI, p. 98) লিখিয়া গিয়াছেন,—“The words bhágyadevi and tunga of the original text need not, perhaps, necessarily be taken as proper names.” কিন্তু সেই বৎসরেই, মহীপালদেবের [বাণগড়ে আবিষ্কৃত] তাম্রশাসনের সমালোচনায়, অধ্যাপক কিল্হর্ণ (J. A. S. B. Vol. LXI, p. 80) লিখিয়া গিয়াছেন,—“undoubtedly the writer, by the words tungasyottungamauleh means to suggest the name of the Ráshtrakuta-king spoken of; or he may even have used tunga as a proper name for Jagatunga. I understand the king referred to be the Ráshtrakuta Jagatunga II, who must have ruled in the beginning of the 10th “century.” এই শ্লোকের “তুঙ্গ”-শব্দ রাজার নামই ব্যক্ত করিতেছে; অন্যথা অর্থসঙ্গতি রক্ষিত হইতে পারে না।
- ↑ রাজশক্তি ত্রিবিধ,—উৎসাহশক্তি, মন্ত্রশক্তি এবং প্রভুশক্তি। অমরকোষে [২।৮।১৯] তাহা উল্লিখিত আছে। তাহার ব্যাখ্যায় টীকাকার ভানুজীদীক্ষিত লিখিয়া গিয়াছেন,—
“कोषदण्डबलं प्रभुशक्तिः।
विक्रमबल मुत्साहशक्तिः।
सन्ध्यादीनां सामादीनाञ्च यथावत् स्थापनं मन्त्रशक्तिः।”
৯৯