পাতা:গৌড়লেখমালা (প্রথম স্তবক).djvu/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নয়পালদেবের শাসনসময়ের প্রস্তর-লিপি।

[কৃষ্ণদ্বারিকা-মন্দিরলিপি]
প্রশস্তি-পরিচয়।

 গয়াধামের কৃষ্ণদ্বারিকা-মন্দিরটি প্রায় শতবর্ষ পূর্ব্বে দামোদর লাল ধোক্‌রী [গয়ালী] কর্ত্তৃক নির্ম্মিত হইয়াছিল। তৎপূর্ব্বেও ঐ স্থানে একটি পুরাতন মন্দির বিদ্যমান ছিল বলিয়াইআবিষ্কার-কাহিনী। বোধ হয়। আধুনিক মন্দিরের প্রবেশদ্বারে, একটি পুরাতন প্রস্তর-লিপি দেখিতে পাইয়া, কানিংহাম তাহার একটি প্রতিলিপি মুদ্রিত করিয়া গিয়াছিলেন।[] লিপিটি অদ্যাপি বর্ত্তমান আছে, এবং তাহার সহিত নয়পালদেবের শাসন-সময়ের পরিচয় সংযুক্ত রহিয়াছে। এই লিপি বিশ্বাদিত্য নামক এক ব্যক্তির [বিষ্ণুমন্দির-নির্ম্মাণের] প্রশস্তি হইলেও, এক্ষণে যে মন্দিরের সহিত ইহার সম্বন্ধ দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার নামানুসারে ইহা “কৃষ্ণদ্বারিকা-মন্দিরলিপি” নামেই পণ্ডিত-সমাজে সুপরিচিত হইয়াছে।

 কানিংহাম এই প্রস্তর-লিপির পাঠোদ্ধার করিতে অসমর্থ হইয়া, ইহাকে নয়পালদেবের বিজয়-রাজ্যের পঞ্চদশ সংবৎসরের প্রস্তর-লিপি বলিয়াই সংক্ষেপে পরিচয় প্রদান করিয়া গিয়াছেন।পাঠোদ্ধার-কাহিনী। ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল ইহার পাঠোদ্ধারের জন্য চেষ্টা করিয়াছিলেন; কিন্তু তিনিও কৃতকার্য্য হইতে না পারায়, তদ্বিবরণ সোসাইটির পত্রিকায় উল্লিখিত হইয়াছিল।[] অবশেষে শ্রীযুক্ত মনোমোহন চক্রবর্ত্তী এম-এ এই প্রস্তর-লিপির পাঠোদ্ধার করিয়া, সোসাইটির পত্রিকায় প্রকাশিত করিয়াছেন।[] বঙ্গ-সাহিত্যে এই লিপি এখনও অপরিচিত বলিলে অত্যুক্তি হয় না। শ্রীযুক্ত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এম-এ এবং শ্রীযুক্ত প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বারিষ্টার মহোদয় অনুসন্ধান-সমিতিকে এই প্রস্তর-লিপির প্রতিলিপি প্রদান করিয়া ধন্যবাদের পাত্র হইয়াছেন।

 এ পর্য্যন্ত এই লিপির আদ্যন্তের অনুবাদ কোন ভাষায় প্রকাশিত হয় নাই। চক্রবর্ত্তি-মহাশয় ইহার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণমাত্রই প্রকাশিত করিয়া গিয়াছেন। কানিংহাম-প্রকাশিতব্যাখ্যা-কাহিনী। প্রতিলিপি, চক্রবর্ত্তি-মহাশয় কর্ত্তৃক উদ্ধৃত পাঠ, এবং বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখোপাধ্যায় মহাশয়গণের প্রেরিত প্রতিলিপি অবলম্বন করিয়া, ইহার একটি

  1. Archæological Survey Report, Vol. III, pl. XXXII.
  2. Proceedings A. S. B., August 1879.
  3. J. A. S. B., 1900, pp. 190–195.

১১০