তৃতীয় বিগ্রহপালদেবের তাম্রশাসন।
[আমগাছি-লিপি]
প্রশস্তি-পরিচয়।
১৮০৬ খৃষ্টাব্দে দিনাজপুরের অন্তর্গত বাদালের [কোম্পানী-বাহাদুরের] কুঠীর প্রায় চৌদ্দ মাইল দূরবর্ত্তী [সুলতানপুরের অন্তর্গত] আমগাছি নামক একটি পুরাতন ইষ্টকাচ্ছাদিত পরিত্যক্তআবিষ্কার-কাহিনী। স্থানে এক কৃষক মৃত্তিকা খনন করিতে গিয়া, এই তাম্রশাসন প্রাপ্ত হইয়া, পুলিশের হস্তে সমর্পণ করায়, ইহা দিনাজপুরের ম্যাজিষ্ট্রেট প্যাটল্ সাহেব কর্ত্তৃক কলিকাতার এসিয়াটিক্ সোসাইটিতে প্রেরিত হইয়াছিল;[১] এবং ইহার আবিষ্কার-কাহিনী সোসাইটির পত্রিকায়[২] প্রকাশিত হইয়াছিল। শাসনখানি তদবধি সোসাইটির পুস্তকালয়ে রক্ষিত হইতেছে।
সুবিখ্যাত অধ্যাপক কোল্ব্রুক্ এই তাম্রশাসনের পাঠোদ্ধারে ব্যাপৃত হইয়াছিলেন। কিন্তু অক্ষর-বিলোপের জন্য, তিনি ইহার সম্পূর্ণ পাঠ উদ্ধৃত করিতে অশক্ত হইয়া, একটি আংশিকপাঠোদ্ধার-কাহিনী। বিবরণমাত্রই প্রকাশিত করিয়া গিয়াছিলেন। সোসাইটির শতবার্ষিকী বিবরণী প্রকাশিত করিবার সময়, অধ্যাপক হর্ণলি আর একবার পাঠোদ্ধার-সাধনের চেষ্টা করিয়াছিলেন। তিনি যতদূর কৃতকার্য্য হইয়াছিলেন, তাহাই মুদ্রিত হইয়াছিল।[৩] পরে এই শাসনলিপির পদ্যাংশের পাঠ অধ্যাপক কিল্হর্ণ কর্ত্তৃক উদ্ধৃত ও প্রকাশিত হইয়াছে।[৪] সম্পূর্ণ লিপির পাঠ এখনও প্রকাশিত হয় নাই।
অধ্যাপক কোল্ব্রুক্ এবং অধ্যাপক হর্ণলি যতদূর পর্য্যন্ত পাঠোদ্ধারে কৃতকার্য্য হইয়াছিলেন, ততদূরই ব্যাখ্যা করিবার চেষ্টা করিয়া গিয়াছিলেন। বংশবিবৃতি-সূচক শ্লোকাবলীর মধ্যে অনেকব্যাখ্যা-কাহিনী। শ্লোকই নারায়ণপালদেবের [ভাগলপুরে আবিষ্কৃত] এবং মহীপালদেবের [বাণগড়ে আবিষ্কৃত] তাম্রশাসন হইতে গৃহীত বলিয়া, ঐ দুইটি শাসন-লিপির সাহায্যে অধ্যাপক কিল্হর্ণ পদ্যাংশের একটি ব্যাখ্যা লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। এতদ্বারা
১২১