পাতা:গৌড়লেখমালা (প্রথম স্তবক).djvu/৪১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
কেশব-প্রশস্তি।

একেবারে অপরিচিত নহে। ভাস্করাচার্য্যের٭ [|লীলাবতী​] গ্রন্থে ইহার পরিচয় প্রদত্ত হইয়াছে। যথা,—

“वराटकानां दशकद्वयं यत् सा काकिणी ता श्च पण श्चतश्रः।
ते षोड़श द्रम्म इहावगम्यो द्रम्मै स्तथा षोड़भिश्च निष्कः॥”

 ইহা মুদ্রা-বিজ্ঞাপক পারিভাষিক শব্দ। কুড়ি কড়ায় এক “কাকিণী”, চারি কাকিণীতে এক “পণ”, ষোল পণে এক “দ্রম্ম”, এবং ষোল দ্রম্মে এক “নিষ্ক”,—এইরূপ নির্দ্দেশ অনুসারে বুঝিতে পারা যায়,—পাঁচ গণ্ডায় এক “পয়সা”, চারি পয়সায় এক “আনা”, ষোল আনায় এক “টাকা”, এবং ষোল টাকায় এক “মোহর” নিতান্ত আধুনিক গণনা-রীতির পরিচয় প্রদান করে না। এই প্রস্তর-লিপির “মহাদেব শ্চতুর্ম্মুখ” আর একটি ঐতিহাসিক তথ্যের পরিচয় প্রদান করিতেছে। এই মহাদেব লিঙ্গমূর্ত্তিবিশিষ্ট ছিলেন বলিয়াই বোধ হয়। বরেন্দ্র-মণ্ডলের নানাস্থানে “চতুর্ম্মুখ” শিবলিঙ্গ দেখিতে পাওয়া যায়। কাশীধামেও এরপ শিবলিঙ্গের অসদ্ভাব নাই। এক্ষণে ইহার প্রতিষ্ঠা-প্রথা তিরোহিত হইয়া গিয়াছে। মহাদেব “পঞ্চমুখ”, এবং ব্রহ্মা “চতুর্ম্মুখ” বলিয়াই প্রসিদ্ধ। কোন্ সময়ে “চতুর্ম্মুখ” মহাদেবের প্রতিষ্ঠা-প্রথা কি কারণে প্রচলিত হইয়া, আবার কোন্ সময় হইতে কি কারণে অপ্রচলিত হইয়া পড়িয়াছে, তাহা এখনও নিঃসংশয়ে নির্ণীত হইতে পারে নাই। কিন্তু “চতুর্ম্মুখ” শিবলিঙ্গ নিতান্ত আধুনিক বলিয়া কথিত হইতে পারে না। কারণ, মহাভারতেও [অনুশাসনপর্ব্ব ১৭।৭৬] ইহার উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। যথা,—

“चतुर्म्मुखो महालिङ्ग श्चारुलिङ्ग स्तथैव च৷”


প্রশস্তি-পাঠ।


चम्प (म्पे) शायतने रम्ये उज्ज्वलस्य शिलाभिदः।
के-
शवाख्येन पुत्रेण महादेव श्चतुर्म्मुखः॥(১)
श्रेष्ठाना-
मेव मल्लानां महाबोधि-निवासिनां।
स्नातक-

  “গণক-তরঙ্গিণী” গ্রন্থে “रसरासदशमितं शके” (১০৩৬ শক—১১১৪ খৃষ্টাব্দ) বলিয়া ভাস্করাচার্য্যের জন্মকাল উল্লিখিত হইয়াছে। তখনও “দ্রম্ম” নামক মুদ্রা প্রচলিত ছিল।

^(১)  সকল শ্লোকই অনুষ্টুভ্। প্রথম শ্লোকের “চম্পশায়তনে” পাঠ চম্পেশ + আয়তন বলিয়া বোধ হয়।

^(২)  ‘স্নাতক × ম্প্রজয়াস্তু’ পাঠের অর্থ বোধগম্য হয় না।

৩১