বীরদেব-প্রশস্তি।
[ঘোষরাবাঁ-লিপি]
প্রশস্তি-পরিচয়।
১৮৪৮ খৃষ্টাব্দে মার্চ্চ মাসে কাপ্তেন কিট্টো বিহার নগরের ৭ মাইল দক্ষিণ-পূর্ব্বে [ঘোষরাবাঁ নামক গ্রামে] এই প্রস্তর-লিপিটি প্রাপ্ত হইয়া, লিপির নিম্নে [ইংরাজি ভাষায়] তাহার আবিষ্কার-কাহিনীআবিষ্কার-কাহিনী। উৎকীর্ণ করাইয়া দিয়াছিলেন।[১] এক্ষণে ইংরাজি অক্ষরগুলি বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে; তথাপি কিছু কিছু চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। ইহা বীরদেব নামক জনৈক বৌদ্ধ যতির প্রশস্তি;—ঘোষরাবাঁ গ্রামে আবিষ্কৃত হইয়াছিল বলিয়া, “ঘোষরাবাঁ-লিপি” নামে পরিচিত। ইহার সহিত ইতিহাসের নানারূপ সম্পৰ্ক বর্ত্তমান থাকায়, ইহা বহুবার মুদ্রিত ও আলোচিত হইয়াছে।
প্রথমে ডাক্তার ব্যালান্টাইন্ এই প্রস্তর-লিপির পাঠোদ্ধারে ব্যাপৃত হইয়াছিলেন। তাঁহার উদ্ধৃত পাঠ এবং কাপ্তেন কিট্টোর এবং লেড্লে সাহেবের বিবিধ মন্তব্যপাঠোদ্ধার-কাহিনী। এসিয়াটিক্ সোসাইটির পত্রিকায়[২] প্রকাশিত হইয়াছিল। পরে [জেনারেল] কনিংহাম একাধিকবার এই শিলা-লিপির উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন।[৩] এক্ষণে অধ্যাপক কিল্হর্ণ কর্ত্তৃক প্রকাশিত[৪] পাঠই ইহার প্রকৃত পাঠ বলিয়া সুপরিচিত হইয়াছে। কিন্তু এই লিপি এখনও বঙ্গ-সাহিত্যে যথাযোগ্যভাবে আলোচিত হয় নাই। ইহার সহিত বাঙ্গালার ইতিহাসের সম্বন্ধ বর্ত্তমান থাকায়, ইহা “লেখমালার” অন্তর্নিবিষ্ট হইল।
ডাক্তার ব্যালান্টাইন্ই সর্ব্ব প্রথমে এই প্রস্তর-লিপির ব্যাখ্যা-কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছিলেন। উত্তরকালে, এই সকল কথার কিছুমাত্র উল্লেখ না করিয়া, ব্রোড্লে সাহেব ইহাকেব্যাখ্যা-কাহিনী। একখানি নবাবিষ্কৃত প্রস্তর-লিপিরূপে [ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল ও ডাক্তার ভাণ্ডারকার-কৃত দুইটি ব্যাখ্যা সহ] সোসাইটির পত্রিকায়[৫] প্রকাশিত করিয়াছিলেন। ইহা একটি বৌদ্ধ-লিপি। দেবপালদেবের শাসন-সময়ে বৌদ্ধ-শিক্ষার অবস্থা
- ↑ ইংরাজি ভাষায় উৎকীর্ণ লিপিটি এইরূপ ছিল—“Recovered and placed here by Captain M. Kittoe on part of Government, March 30, A. D. 1848.”
- ↑ J. A. S. B., Vol. XVII, Part 1, pp. 492-501.
- ↑ Archeological Survey Reports Vol. I, p. 38; Vol. III, p. 120; and Ancient Geography of India, Vol. I, p. 44.
- ↑ Indian Antiquary Vol. XVII, pp. 307-312.
- ↑ J. A. S. B. Vol XII, pp. 268-274.
৪৫