লেখমালা।
বঙ্গানুবাদ।
(১)
যে মুনীন্দ্র জীবহিতপ্রবৃত্ত-সাধুচিত্তবৃত্তি-প্রভাবে ধর্ম্ম-তত্ত্ব অধিগত করিয়াছেন, ক্লেশ-নিপীড়িত[১] জনসাধারণের পক্ষে পাপ-কুম্ভীরসমাকুল দুরতিক্রমনীয় সংসার-সাগর উত্তীর্ণ হইবার একমাত্র সেতুরূপে বর্ত্তমান সেই শ্রীমান্ [বুদ্ধদেব] জয় লাভ করুন্।
(২)
তাঁহার মনোহরণ করিবার অভিপ্রায়ে সমুদ্ভূত হইয়া, আমার অপেক্ষা শ্রেষ্ঠগণ বলহীন হইয়া গিয়াছেন, আমি যদি একাকী সেই ত্রিলোকপ্রভুর নিকটে বলবান্ বলিয়া প্রতিপন্ন হইতে না পারি, তাহাতে লজ্জা কি,—এইরূপ আলোচনা-পরায়ণ মনোভব [কামদেব] যাঁহাকে দূর হইতে বর্জ্জন করিয়া গিয়াছেন, বোধিদ্রুম-মূলাসীন সেই শ্রীমান্ “বজ্রাসন” অশেষ বিশ্বকে রক্ষা করুন্।[২]
(৩)
উত্তরাপথের অলংঙ্কার ন গ র হা র[৩] নামে সুবিখ্যাত যে উত্তম দেশ [বর্ত্তমান], তথায় অত্যুন্নত দ্বিজাতি-বংশে ইন্দ্রগুপ্ত নামক রাজসুহৃৎ জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন।
^(১৫) বসন্ততিলক।
^(১৬) মন্দাক্রান্তা।
- ↑ এই শ্লোকের “ক্লেশাত্মনাং”-শব্দে পাতঞ্জল-দর্শনোক্ত [২ পাদ ৩ সূত্র] “পঞ্চক্লেশ” সূচিত হইয়াছে বলিয়া বোধ হয়। যথা,—
अविद्याऽस्मिता-रागद्वेषाभिनिवेशाः पञ्च क्लेशाः।
অবিদ্যাদি-পঞ্চক্লেশ-নিপীড়িত জনগণের পক্ষে সংসার-সাগর সমুত্তীর্ণ হইবার সম্ভাবনা নাই; তাহাদের পক্ষে বুদ্ধদেবকে সেতুরূপে গ্রহণ করাই কর্ত্তব্য,—এইরূপ গুরুবাদমূলক মত এই শ্লোকে প্রকটিত হইয়াছে।
- ↑ নাগানন্দের নান্দী স্মরণীয়।
- ↑ কাবুলের অন্তর্গত জালালাবাদের নিকটে ‘নগরহার’ অবস্থিত ছিল। Cunningham’s Ancient Geography of India Vol. I, p. 43; and Beal’s Si-yu-ki, Vol. I, p. 91.
৫০