পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২ গৌড়ীয়-সাহিত্য নিশ্চয়ই ধরতে পারবেন। যে মহা প্ৰভু ‘স্ত্ৰীগান’ শব্দমাত্র শ্রবণ ক’রে বলেছিলেন,— “—গোবিন্দ আজ রাখিল জীবন। স্ত্রী-পরশ হইলে আমার হইত মরণ ॥” সেই মহা প্ৰভু যখন— “চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি, রায়ের নাটক-গীতি, কর্ণামৃত, ঐগীতগোবিন্দ । স্বরূপ-রামানন্দ-সনে, * * রাত্ৰি-দিনে, গায় শুনে পরম-আনন্দ ॥” তখন সেই চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি প্রভৃতি অপ্রাকৃত সাহিত্যকগণে কোনপ্রকার হেয়তার লেশমাত্রও যে থাকৃতে পারে না, তদবিষয়ে আর অধিক প্রমাণের আবশ্যকতা নেই। গৌড়ীয় পুরাণ-সাহিত্য গৌড়ীয়-সাহিত্য নিত্য নবযৌবন আদ্য পুরাণ-পুরুষ গোবিন্দের সেবার কথাই কীৰ্ত্তন ক’রে থাকেন। গৌড়ীয়সাহিত্য, গৌড়ীয়-কাব্য সকলই বৈষ্ণবগণের পরমপ্রিয় অমলপুরাণ শ্ৰীমদ্ভাগবতের বিবৃতি। গোস্বামিগণের গ্রন্থ সমস্তই পুরাণ-সাহিত্য । গৌড়ীয়-বিজ্ঞান-সাহিত্য গৌড়ীয়-সাহিত্য বাস্তব-বিজ্ঞানের কথা কীৰ্ত্তন করেছেন। নিখিল বিজ্ঞান একমাত্র যে মূল-বিজ্ঞানের অনুগত হ’য়ে