পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য ` ( V চৈতন্তকে আবৃত করে দিল, তখন সঙ্গীত সাহিত্য পণ্যদ্রব্য বা বিলাসীর ভোগোপকরণে পৰ্য্যবসিত হ’লে । পরবৰ্ত্তিকালে ‘ক্ষণদ-গীতচিন্তামণি’ নামক একখানি গ্রন্থ চক্ৰবৰ্ত্তী ঠাকুরের নামে আরোপিত হয়েছে ; অনেকে ঐ সঙ্গীত-সংগ্রহ-সাহিত্যে নানাপ্রকার সিদ্ধান্ত-বিরোধ, রসাভাস-দোষদি লক্ষ্য করেন, শোনা যায় । ময়নাডালের মঙ্গলবৈষ্ণবঠাকুরের শিষ্য নৃসিংহঠাকুরের অধস্তন মিত্ৰঠাকুরগণের বংশীয়গণ মৃদঙ্গবাদ্য নিপুণতায় বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন । গৌড়ীয়-জ্যোতিঃ-সাহিত্য গৌড়ীয়-জ্যোতিঃ-সাহিত্যও জ্যোতিষ-জগতে যুগান্তর আনয়ন ক’রেছে। “ন যত্র স্বৰ্য্যো ভাতি ন চন্দ্রতারকম”এর রাজ্য—“নিমেষাৰ্দ্ধাখ্যে বা ব্রজতি ন চি যত্ৰাপি সময়ঃ” বা “রাত্রীঃ শারদোৎফুল্লমল্লিকা:” প্রভৃতি বাক্য-বণিত যুগপৎ অচিন্ত্য-ব্যাপারের সমাবেশ ও সমন্বয় একমাত্র গৌড়ীয় জ্যোতিষ-সাহিত্যই প্রদর্শন করেছেন। কারণ, একমাত্র গৌড়ীয়-জ্যোতিৰ্ব্বিদগণই গান ক’রে থাকেন,— “যচ্চক্ষুরেষ সবিতা সকলগ্রহাণাং রাজা সমস্তমুরমূৰ্ত্তিরশেষতেজাঃ । যন্তাজ্ঞয় ভ্রমতি সম্ভ.ত কালচক্রে গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভঙ্গামি ৷ ”