পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* > * গৌড়ীয়-সাহিত্য যুগ সংশ্লিষ্ট হ’তে পারে। এব পরই গৌড়ীয়ের একটী । অন্ধকার-যুগের স্বচনা হয়—গৌড়ীয়-সাহিত্য-জগতে আচারপ্রচার প্রণালীর ব্যভিচার ও উদাসীনতার সঙ্গে-সঙ্গে নানাপ্রকার অপমল প্রবেশ করতে থাকে। যদিও চক্রবত্তিঠাকুরের সাহিত্যে অতিবাড়ী, চুড়াধারী প্রভৃতি অপসম্প্রদায়ের নিনা শুনতে পাওয়া যায়, তথাপি আউল, বাউল, কৰ্ত্তাভ জা, নেডা, দরবেশ, সৰ্ণষ্ট, সহজিয়া, সখিভেকী প্রভূত অপসম্প্রদায়িগণ গৌড়ীয়ের একট দীর্ঘকালব্যাপী অ কারের সময় তাদেব স্ব-স্ব-অপম্বার্থ পূরণ করবার এবং পরবর্তিকালে তাদের কুমতগুলির বীজ বিস্তারিত করবার জন্য স্ব-স্ব-মতবাদ-পোষক সাহিত্য সৃষ্টি করছিল । গৌড়ীয়ের এই অন্ধকার-যুগেই অশ্বঘোষীয় মহাযান-সম্প্রদায়ের আনুগত্যে অনেক প্রাকৃত-সহজিয়া-সাহিত্য, আউলবাউলের সাহিত্য, গেীরনগরী-সাহিত্য প্রভৃতি স্বল্প হতে থাকে। কৃষ্ণচন্দ্রীয় যুগে ভজনাননী মহাত্মা তোতারাম র্তা’র সুপ্রচারিত সরল ছন্দে ঐসকল মতবাদ ও সাহিতাকে নিরাস করবার চেষ্টা করলেও ভারতচন্দ্রের সাহিত্য এবং তাহার জীবনের উদাহরণ ঐসকল সহজিয়ী সাহিত্যিকগণের মত-পোষণে সাহায্য ক’রেছিল। অন্ত্যদিকে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের বৈষ্ণব-বিদ্বেষ ও আচারনিষ্ঠ শুদ্ধবৈষ্ণবধৰ্ম্মপ্রচারকের অভাব ও প্রাকৃত-সহজিয়া-সাহিত্য-সম্বৰ্দ্ধনে যথেষ্ট স্থযোগ প্রদান ক’রেছিল। গৌড়দেশের গ্রামে-গ্রামে