পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য ు ) ( • করছিলাম—গৌড়ীয়-সাহিত্য-সমুদ্রে যখন একটা ভীষণ কালবৈশাখী দেখা দিয়ে তুফান উঠিয়েছিল, আর আমরা যখন , সেই কাল-বৈশাখীর ঝাপটা বায়ুযোগে আহৃত জড়জগতের রাশি-রাশি ধূলি ও বালুকণার অন্ধনয়ন হ’য়ে পড়ছিলাম, তখন অমন্দোদয়-দয়ানিধি শ্রীচৈতন্যের ভক্তিবিনোদ-দয়া। আমাদের নিকট শ্রীচৈতন্য-সাহিত্য-সরস্বতীকে প্রকাশ ক’রে চৈতন্য-সাহিত্যাঞ্জন-শলাকায় আমাদের অন্ধ নয়ন। উন্মীলিত ক’রে দিলেন। তার বর্তমানকালের সাহিত্যের স্রোতোগতি যদি একটুকু বিশ্লেষণ ক’রে দেখা যায়, তা হলে দেখতে পাওয়া যায় যে, সাহিত্যিকগণ যেন মুক্তবলগসাহিত্যের সাহায্যে প্রকৃতিকে নানাভাবে ভোগ করবার জন্য উদামভাবে ছুটেছেন। বিরাটু-পুরুতিরই একটা ক্ষুদ্রতম অংশরূপা ঘোষিৎ ভোগ ক’রে যে অতৃপ্ত ভোগকামনা থেকে যায়, সেই অতৃপ্ত-ভোগ-তৃষ্ণানলের লেলিহান কোটি জিহবাকে মহামোহিনী প্রকৃতির উপর গ্রয়োগ ক’রে পিপাসা-শাস্তির জন্য যে প্রয়াস, সেটাই বর্তমান জগতের প্রাকৃত-সাহিত্যিকের সহিত্যের মধ্য দিয়া প্রকাশিত। শুধু প্রকৃতিকে ভোগ কর বাব বাসনাটুকু নহে—সেই বাসনা অতিব্যাপ্ত হ’য়ে রাবণের সীতাহরণ-চেষ্টার ন্যায় ভগবচ্ছক্তিভোগের দুৰ্ব্ব দ্ধিও পোষণ করতে বসেছে। এখন আর শুধু জড়জগতের ভাবনা নিয়ে সাহিত্য-রচনা আবদ্ধ থাকৃছে না, এখন বৃন্দাবন-লীলা, রাইকামুর পিরীতি,