পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য 9א למי চণ্ডীদাস-বিদ্যাপতি-প্রভুগণকেও প্রাকৃত-সাহিত্যের মধ্যে টেনে আল্বার উদ্যম-চেষ্টা হ’চ্ছে। বজাঙ্গজী মহারাজ যেরূপ বীরপে রাবণের দুৰ্ব্বদ্ধির বাধা দিয়েছিলেন–রাবণের সীতাহরণকে মায়া-সীতাহরণ ব’লে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, সেরূপ গৌড়ীয়-সাহিত্যাচাৰ্য্য বর্তমানকালের প্রকৃতিভোগপ্রবণ সাহিত্য-বিশ্বে স্বীয় স্বতন্ত্র স্বতঃসিদ্ধ সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য রক্ষা ক’বে আমাদের দুৰ্ব্বদ্ধি-গ্রন্থিসমূহকে ছেদন ক’রে দিচ্ছেন। তা’র সাহিত্যের একটী বৈশিষ্ট্য এই যে, তা কোন প্রকৃতিভোগ কামীর ইন্দ্রিয়তপণের নিকট বঙ্গ্যতা স্বীকার করে না বা দুৰ্জ্জন-তোষণে প্রশ্রয় দেয় না। সুতরাং ঐরূপ শ্রেণীর ব্যক্তি সেই ঈশ-সেবা প্রাণ সাহিত্যকে দুৰ্ব্বোধ্য ও শুষ্ক ব’লে ভয়ে-ভয়ে দূরে থাকে। এই সাহিত্যাচার্য্যের সজ্জনতোষণ-সাহিত্যের এমন একটা সৌন্দৰ্য্য বৰ্ত্তমান যে, তা’র এক-একটা শব্দ যেন এক-একটী অফুৰন্ত সুসিদ্ধাস্ত সন্মণিখনি আবিষ্কার ক’রে দেয়—কৃষ্ণের ইন্দ্রিয়তপণের চরমকাষ্ঠ নির্ণয় ক’রে দেয় । এই সাহিত্যের আর একটী বিশেষত্ব এই যে, তাহা কোন কদৰ্থকারীর দুরভিসন্ধিদ্বার স্বারস্ত ভিন্ন দ্বিতীয়-ব্যাখ্যায় ব্যাখ্যাত হ’তে পারে না । তার গতি সহজ ও সরল । দু’দিকে এমনভাবে সুরক্ষিত যে, কোন দিক্‌ হ’তেই কোন খল এসে সেই কৃষ্ণপাদচারণ-ভূমিকাকে কোন প্রকারেই বিন্দুমাত্র দূষিত বা পরিবৰ্ত্তিত করতে পারে না ।