পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সনভাপতির অভিভাষণ আজ আপনার এই ভগবৎ-প্রেমিক বক্তার নিকট অপূৰ্ব্ব কথা-মাধুরী শ্রবণ করলেন। এ কথাটা আমি স্তুতি ক’রে বলছি না, সত্য-সত্যই প্রাণের কথা প্রাণ হ’তে ব্যক্ত করছি । আমি যখন বিজ্ঞাপনে ‘গৌড়ীয়-সাহিত্য’ সম্বন্ধে আজ কিছু বলা হ’বে দেখেছিলাম, তখন মনে করেছিলাম, বক্তা কতকগুলি সাধারণ সাহিত্য-গ্রন্থের নাম ও তৎসম্বন্ধে আলোচনা করবেন ; কিন্তু আজ যথন গৌড়ীয় মঠের এই প্রেমিক বক্ত৷ ‘সাহিত্য’ শব্দের বুৎপত্তি ব্যাখ্যা করলেন, তখন সাহিত্য-জগতে যেন এক নূতন আলোকের প্রভা ছড়িয়ে পড়ল । প্রকৃত প্রস্তাবে ‘সাহিত্য’ শব্দের এরূপ ব্যাখ্যাই সমীচীন । র্যার ব্যাকরণ না জানেন, তারাও একথাটা বুঝতে পারেন যে, “সহিত” শব্দ থেকে *সাহিত্য’-শব্দ নিম্পন্ন। ‘সংহিত’ বা 'সহিত’-শব্দ একই । ‘সংহিত অর্থে—মিলন ; যেখানে পূর্ণ মিলন না হয়, সেখানে সাহিত্য হ'তে পারে না । ভক্তি-শব্দের অর্থ অনুধাবন করলেও জানা যায়, যাহা ভাগীদার করে, তাহা ভক্তি। ভক্তিই পুর্ণমিলনের পথ দেখা’তে পারে। যদ্বারা আমরা ভগবানের মাধুৰ্য্যের ভাগীদার হই, তার নামই ভক্তি । যিনি আপনাকে ভগবানের সেবার একতানযুক্ত করতে পারেন, তিনিই বিশ্বপ্রেমিক ।