পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য 3 ఫి কৰ্ম্ম ও জ্ঞানের পথে মিলন হ’তে পারে না। কৰ্ম্ম মিলনের কুহক দেখিয়ে আপনাকে বিড়ম্বিত করে, আর জ্ঞান মিলনের একটা আংশিক ছায়া দেখিয়ে মাঝপথে নিরস্ত হয় । সেবার পথেই মিলন । সেবার পথ জগতের সকলের অস্তিত্বের সঙ্গে তা’র অস্তিত্ত্ব মিলাতে পারে, সকলের ভিতরে ভগবানের অধিষ্ঠান জেনে সকলকে আলিঙ্গন করতে পাবে । ভগবানেই সমস্ত ভাবের পরিপূর্ণতা। তিনি ঔপনিষদের নিকট ব্রহ্ম, চৈরণ্যগর্ভের নিকট ঈশ্বর, আর ভক্তের নিকট ভগবান, তিনি অদ্বয়স্তান । সেই ভগবানের ভক্তের সহিত জগতের সকলেই মিলনে বদ্ধ। প্রকৃত সংহত বা মিলন সেপানে—যেখানে সেই ভগবানের সেবার পূর্ণ বিকাশ । যে শস্বরাশি মিলনের সন্ধান না দেয়, তা’র সংহিতা’ নাম হ’তে পারে না। ভগবানের সঙ্গে মিলন করা”তে পারে ব’লে—ভক্তির সন্ধান দিতে পারে ব’লে, বৈদিক-সাহিত্যের নাম—‘সংহিতা’ । গৌড়ীয়মঠের বক্তাও ব’লেছেন, বৈদিক-সাহিত্য ভক্তিরই সাম গান গেয়েছেন ; এ কথা ঠিক । যেখানে পুর্ণতা ও প্রীতির সমাবেশ-যেখানে পরিপূর্ণ প্রীতি, তাহাই সাহিত্য। আমর মনে করি,—আমাদের দেহ, আত্মীয়-স্বজন, পাড়াপ্রতিবাসী, সমাজ, স্বদেশ–এসকলই আমাদের প্রীতির নিদান ; কিন্তু ভগবদ্ভক্তের কাছে প্রীতিটা অতটুকু সঙ্কীর্ণ ও ক্ষণিক নয় ; তা’দের প্রীতি প্রীতির প্রতিপাদ্য-বিষয়কে কেন্দ্রীভূত