পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b" গৌড়ীয়-সাহিত্য প্রতিবিম্ব । এই বিরাটু বা প্রকৃতি থেকে যে সকল সাহিত্যের উৎপত্তি হ’য়েছে ও হচ্ছে, তাকেই বিরাটের সাহিত্য বা প্রাকৃত-সাহিত্য বলা যায়। এখানকার সাহিত্য সেই স্বরাটু-সাহিত্য-সৌন্দৰ্য্য-সাগরের একটুকু বিকৃত আভাসমাত্র ; এখানকার সাহিত্যের নায়ক অনেক, কিন্তু, স্বরাট সাহিত্যের নায়ক একমাত্র সনাতন-রসপরিপালী সৰ্ব্বতন্ত্রস্বতন্ত্র ব্রজ-নব-যুবরাজ । গোলোক ও ভূলোকের সাহিত্যে পার্থক্য যেখানে নায়ক অনেক, সেখানে ঐক্যতান বা একক্রিয়ান্বয়িত্ব নাই ; ঐক্যতান বা একক্রিয়ান্বয়িত্ব যেখানে সৰ্ব্বতোমুখী, সেখানেই সাহিত্যের পুর্ণ অভিব্যক্তি ; এ জগতের সাহিত্যের নায়কন্মন্ত বা নায়িকাভিমানিনীগণ সচ্চিদানন্দঘন ন’ন—এখানকার মাটী, তরু, জল চিস্তামণি নয়—এখানে কাল ভূত-ভবিষ্ণুদ্ধৰ্ম্ম-রহিত অখণ্ড নয়— এখানকার নায়ক-নায়িকাগণ কাণ দিয়ে অসম্পূর্ণভাবে কথা শুনতে পারলেও কাণ দিয়ে কথা কইতে পারেন না ; কিন্তু স্বরাট সাহিত্যের নায়ক-নায়িকাগণ কাণ দিয়ে যেমন কথা শুনতে পারেন, তেমনি কাণ দিয়ে কথা কইতে ও পারেন—তাদের সকল অপ্রাকৃত ইন্দ্ৰিয়ই পূর্ণভাবে অন্তান্ত সকল ইন্দ্রিয়ের কাজ করতে পারে ; তাই তাদের প্রতি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ—সাহিত্য,—