পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8 গৌড়ীয়-সাহিত্য পুরুষের দ্বারা—ব্যাস-নারদাদি দ্বারা পৃথিবীতে প্রচারিত হয় ; আবার কখনও কখনও প্রলয়াদির সঞ্চারে, গ্রাহকের অভাবে পৃথিবী হ’তে অদৃপ্ত হয়। এই সাহিত্য-শিখামণি নৈমিষ-সাহিত্য প্রাগ বন্ধযুগে ও বর্তমান ছিল। নৈমিষসাহিত্যের আকর-গ্রন্থগুলি যে ভাষায় লিখিত হ’য়েছিল, সে সকল বৈদিক-গ্রন্থ কালবশে তিরোহিত হবার পর এবং সেই সাহিত্যের ভাষা বর্তমান-প্রকাশিত-পুরাণসাহিত্য-রচনাকালের পরবর্তী সময়ে অনাদৃত হওয়ায় ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্যের আকর-গ্রন্থগুলি কালবশে সম্প্রতি ফুল্লভ হ’য়ে পড়েছে। নৈমিষ-সাহিত্যের প্রতিপাদ্য বিষয়গুলি ঋক্সংহিতা প্রকাশকালেরও বহু পূর্বের কথা । সে জন্তই সংহিতা-সাহিত্যের পরবৰ্ত্তিকালে প্রচারিত পুরাণসাহিত্যের নব্য ঐতিহের সঠিত বৈদিক-কালের পূর্ববৰ্ত্তী বিষয়ের যথেষ্ট আলোচনা রয়েছে। সৰ্ব্ব-সাত্বতশাস্ত্র-সমন্বয় সাহিত্য নৈমিষ-সাহিত্যকে অবলম্বন ক’রেই ভারতের প্রাচীন সাহিত্য-সমূহ সম্বৰ্দ্ধিত হ’য়েছে। ‘পরমহংসপ্রিয়। ‘শুকহুদয়’, ‘মুক্তফল’, ‘হরিলীল’, বিদ্বৎকামধেনু’, বিষ্ণুস্বামীর “সৰ্ব্বজ্ঞস্বত্ত’, লক্ষ্মীধর ও শ্রীধরের নামকৌমুদী এবং “ভাবাৰ্থদীপিকা’, নিম্বভাস্করের ‘পারিজাত’, আলবন্দারু ঋষি ও লক্ষ্মণদেশিকের স্তোত্ররত্ন’ ও ‘গদ্যত্রয় প্রভূতি, পূর্ণপ্রজ্ঞের ভাগবত-তাৎপর্য’, ‘অমৃতমহার্ণব’, ‘দ্বাদশস্তোত্র’, শ্ৰীমদ্রবিষ্ণুপুরীপাদের ‘ভক্তিরত্নাবলী’, সত্বত-সাহিত্যিকগণের