পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>レア গৌড়ীয়-সাহিত্য হয়েছে। যেমন পরবৰ্ত্তিকালে গৌড়ীয়-বৈষ্ণবধৰ্ম্ম হতে স্বতন্ত্ৰ হ’য়ে আউল, বাউল, কৰ্ত্তাভজা, নেড়, দরবেশ, সহজিয়া, সখিভেকী, গেীরনাগরী প্রভৃতি মত ও তাদের সাহিত্য হুষ্টি হ'য়েছে ও হচ্ছে, তেমনি প্রাচীন বৈষ্ণবসাহিত্য বা নৈমিষ-সাহিত্য হ’তে স্বতন্ত্ৰ হ’য়ে বজ্রযানীয় বৌদ্ধ-সাহিত্য-সমূহ স্বঃ হ’য়ে সমাজ ও সাহিত্যকে কলঙ্কিত ক’রেছে। গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্য অর্থাং নৈমিষ-সাহিত্য এই সকল নব-স্থঃ সাহিত্যের বহু পূৰ্ব্বে গৌড়-বঙ্গে প্রকাশিত ছিল। সেই সাহিত্যই গৌড়ের আদি সাহিত্য। স্বাতন্ত্র্যাবলম্বন-চেষ্টার দিগদর্শন গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্য হ’তে স্বতন্ত্ৰ হ’য়ে ব্যক্তিগত বা নবস্থঃ সম্প্রদায়গত সাহিত্য গড়ে তুলধার চেষ্টা গোড়ীয়ের অভু্যুদয়-যুগে শুধু যে বাংলায় হয়েছিল, তা নয়, বঙ্গের বাইরেও এই স্বতন্ত্রত অবলম্বন ও অনুকরণ ক’রে সাহিত্য স্বষ্টি করুবার একটা বিপুল চেষ্টা হ’য়েছিল। উৎকলের ইতিহাসে, প্রাগৃজ্যোতিষপুরের ইতিহাসে, আর্য্যাবৰ্ত্তে ও দাক্ষিণাত্যে এই অনুকরণ ও স্বতন্ত্রতার ছায়াপাত নুনাধিক দেখতে পাওয়া যায়। উৎকলে অতিবাড়ী জগন্নাথ দাস গৌড়ীয়-বৈষ্ণবগণের বিচার হতে স্বতন্ত্ৰ হ’য়ে উৎকলবাসী মত্ত বলরাম দাসের অনুগত পরিচয় দিয়ে উৎকল-ভাষায় সাহিত্য স্বষ্টি ক’রেছিলেন ; যেমন