পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৩১

গৌড়ীয়-সাহিত্য S \ס গণের সম্মুখে প্রকাশিত করলেন, তখন নিখিল গৌড়ীয়সাহিত্যের ভাণ্ডার উন্মুক্ত হ’য়ে গেল। শ্বেতদ্বীপের স্বরাষ্ট্রসুন্দরের স্বয়ংরূপিণী-সাহিত্য-শোভা একবার মাত্র পৃথিবীতে রূপ গ্রহণ করেছেন, তাগ এই গৌডদেশে বৈবস্বত-মন্বন্তরের অষ্টাবিংশ চতুযুগের কলিতে। সৰ্ব্ব সাহিত্যের আকররূপিণী স্বরাটু-সাহিত্য-জয়ন্ত্র স্বরাটুম্বন্দরের সহিত স্বয়ম্বররসযুক্ত হ’য়ে স্বানন্দ-সাহিত্য-সম্মিলিত-সান্দ্রসন্ধিৎসুন্দর গৌরমুন্দরব্রুপে যেদিন গৌড়পুরে অবতীর্ণ হ’লেন, সেদিন সাহিত্য-শোভার উৎসমুখ শত সহস্রধারে উৎসবান্বিত হ’য়ে উঠলো। যখন সাহিত্যস্বরূপিণী স্বয়ং-সাহিত্য-নায়কের সহিত সম্মিলিত-তনু হ’য়ে গোলোক হ’তে ভূলোকে-শ্বেতদ্বীপ-গোঁড় হ’তে ভৌম-গৌড়ে অবতরণ করলেন, তখন যে সমগ্র বিশ্বে সাহিত্যের বস্তা উচ্ছলিত হ’য়ে উঠবে, ইহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? গৌড়ীয়-সাহিত্যের ত্রিধারা সেই সাহিত্য-বদ্যা প্রয়াগের ত্রিবেণী-সঙ্গমে ত্রিধারায় প্রকাশিত হ’য়ে ঐরুপের রসামৃতসিন্ধুর সঙ্গে সঙ্গম লাভ করলো। শ্রীরূপ সেই রসামৃতসিন্ধুর অতলগৰ্ভ হ’তে উজ্জ্বলনীলমণি আবিষ্কার ক’রে বৈষ্ণল-বিশ্বে সাহিত্য-স্বরাজ প্রদান করলেন । নৈমিষ-সাহিত্যের “জ্ঞান-বৈরাগ্যভক্তিসহিতম্” বাক্যের তাৎপৰ্য্য সেদিনই উপলব্ধির বিষয়