পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ গৌড়ীয়-সাহিত্য সাহিত্যের সৌন্দর্য্যতত্ত্ব সাহিত্য জিনিসটা সুন্দর, নবনবায়মান ও সৰ্ব্ব চিন্তাকর্ষক। সাহিত্য এত সুন্দর যে, প্রকৃতির সকল সৌন্দৰ্য্য হতে—বিরাটের সকল মুষমারাশি হ’তে শান্ত, নিবৃত্ত হ’য়ে যার রাহিত্যের দিকে অভিযান ক’রেছেন, সেই আত্মারাম নিগ্রন্থগণও সাহিত্য-সৌন্দর্য্যে আকৃষ্ট হ’য়ে আত্মার মতাকে বারণ ক’রে পর-রামতাকে বরণ ক’রে থাকেন । আর বিরাটে আচ্ছন্ন, বিকৃত, প্রতিফলিত প্রতিবিম্বে বিবৰ্ত্তগ্রস্ত র্যা’র, তারাও স্বরাট সাহিত্যেরই প্রতিবিম্বিত সৌন্দর্যের ছলনাময়ী ছবিতে অtফ্লষ্ট হ’য়ে প্রকৃতির পাশে পতিত হয়। সাহিত্যে সব সৌন্দর্য্য আছে। সাহিত্যে শিল্পের সৌন্দর্য্য—সাহিত্যে বিজ্ঞানের সৌন্দৰ্য্য—সাহিত্যে দর্শনের সৌন্দৰ্য্য—সাহিত্যে রসের সৌন্দৰ্য্য পূর্ণমাত্রায় বিরাজমান। সৰ্ব্ব-সৌন্দর্ঘ্যের সমন্বয় যেখানে নেই, সেখানে সাহিত্যও নেই। সাহিত্যে সৰ্ব্ব-সৌন্দর্য্যের সমাবেশ কেন? এর উত্তর আমরা পূৰ্ব্বেই দিয়েছি। সৰ্ব্বসৌন্দর্য্যের—সৰ্ব্বশোভার খনি —অংশিনী মহাভালময়ী হলদিনীই—স্বয়ং সাহিত্য-স্বরূপিণী। গৌড়ীয়-সাহিত্যে এই হলদিনী-দেবতার আরাধনাই প্রচুর, তাই গৌড়ীয়-সাহিত্য সৰ্ব্বসাহিত্যের সৌন্দৰ্য্যকে অতিক্রম ক’রেছে। গৌড়ীয়-সাহিত্য স্বয়ংরূপিণী সাহিত্যস্বরূপিণী বাৰ্যভানবীর সেবা-সৌন্দর্য্যেরই সান্দ্ৰ-শ্ৰীমূৰ্ত্তি।