পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నిని গৌড়ীয়-সাহিত্য চাৰ্ব্বাক, ইয়াংচু, লুসিপস, লুক্রিসিয়াস প্রভৃতি গুরুবর্গের (?) শিষ্যত্ব স্বীকার করি, তাদের নিকট হ’তে “খণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেং” মন্ত্র শ্রুতিবদ্ধ ক’রে অপৌরুষেয় শ্রুতিমন্ত্রকে ভণ্ডধূৰ্ত্ত-নিশাচরের কৃত ব’লে শ্রুতিকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার একটা চেষ্টা অপ-প্রয়োজনের প্রেরণায় দেখাতে বাধ্য হই—যখন এই নাস্তিকতা ক্রমবিকাশের পথে প্রচ্ছন্ন হ’য়ে আরও ঘনিয়ে ওঠে, তখন আমরা বেদকে মুখে একেবারে অস্বীকার করতে না পারলেও বিরোচনের শিষ্যত্ব স্বীকার ক’রে বিরাটে ব্যাপৃত হ’য়ে পড়ি। কখনও বা আরও একটুকু অগ্রসর হয়ে বিরাটকেই ‘ভূমা’ বলে স্থাপন ক’রে “যন্ত দেবে পর ভক্তি” শ্রুতির পর ভক্তি কথাটা বুঝতে চাই না ; তাই আমাদের কাছে শ্রীতির অর্থও প্রকাশিত হয় না । শ্রুতির প্রতিপাদ্য পরম পুরুষ—“বেদৈশ্চ সৰ্ব্বৈরহমেব বেদ্যঃ”—সাহিত্যনায়কের এই গীতরাগিণী আমাদের কর্ণমল ভেদ ক’রে মৰ্ম্মের মৰ্ম্মর-মন্দিরে প্রবেশ করে না । শ্রুতি-সাহিত্য যে *প্রাকৃত নিষেধি’ করে অপ্রাকৃত স্থাপন”—একথা আমরা একটুকু ধৈর্য্য ধরে নিরপেক্ষতার নিকষ পাথরে ফুটিয়ে দেখতে চাই না। কাজেই “গুমাচ্ছবলং প্রপছে” ছান্দোগ্যের এই মন্ত্রে শুiমমুন্দরের স্বরূপশক্তির নির্দেশ পরভক্তিহীন আমাদের হৃদয়ে প্রকাশিত হয় না, আমরা ‘শবল’কে হার্দ-ব্ৰহ্মত্ব ব’লে কাটিয়ে দিতে চাই । শ্রুতি